Skip to main content

Posts

New Years Resolution 2012

Get back in shape To do : work out Stop doing: eating junk foods out of boredom  Make local friends To do : Start socializing, going to parties, join groups Stop doing: Sitting on couch watching TV Get a tattoo Travel Europe start masters

প্রিয় লেখক

আমার কৈশোরের একটা বড অংশ কেটেছে হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ে। হিমু, মিসির আলি, শুভ্র, উপন্যাস, ছোটগল্প, রহস্যগল্প। সবই গোগ্রাসে গিলেছি নাওয়া খাওয়া ভুলে। কিছু মনে দাগ কেটেছে; কিছু হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সময় কেটেছে দারুণ। সে বয়েসে যেটা হয়, যেই বই -ই পড়ি সে বইয়েই নায়িকা হতে ইচ্ছা করে। বই শেষে আচ্ছন্ন হয়ে যাই এক অদ্ভূত রোমান্টিকতায়। মনে মনে কতবার আমি নীতু, নীরা, মীরা, রুপা হতে চেয়ে আশেপাশের সবার সাথে দুর্বোধ্য ব্যবহার করেছি। মোহাচ্ছন্ন বেপরোয়া আচরণের জন্য কত বকা খেয়েছি। কৈশোরে চেপে ধরা সেই রোমান্টিকতা আমার আজও যায়নি। এখনো আমার  নীতুর মত প্রচন্ড, ওলোট পালোট করা, বোকার মত, বাঁধণ ছাড়া, নিয়ন্ত্রনহীন পাগলের মত ভালোবাসতে; ভালোবাসা পেতে ইচ্ছা করে। বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল হাতে হারিয়ে যেতে ইচ্ছা করে। ভরা পূর্ণিমায় নীল জ্যোতস্নায় ভেসে যেতে ইচ্ছা করে। প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ ক্যান্সারে আক্রান্ত। অনেকেই তার সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছে। অনেকেই  তার ব্যক্তিজীবন আর বাজারি লেখার কথা তুলে ধুঁয়ো দিচ্ছে। ভবিষ্যতে কি হবে জানি না। হয়তো প্রিয় লেখকের আরও অনেক নতুন লেখায়, নতুন সময়ের আরোও বহু তরুণ তরুনী হিমু, ...

এলোমেলো দিনলিপি (হাকুনা মা-টা-টা এডিশান)

একেকটা সময় আসে, সব কিছুই এলোমেলো লাগে। মনে হয় আমি এখানে কি করছি? আসলামই বা কিভাবে এখানে? আসলেই কি এখানে থাকার কথা আমার? সব কিছুই নতুন; নতুন শহর, নতুন চাকরি, নতুন বাসা, নতুন আসবাব, ল্যাপটপ, ফোন... পুরাতন বলতে আমার দাদীমা বুড়ো গাড়িটা। সেটাও কতোদিন থাকবে জানি না। নতুন শহরে এখনো তেমন অভস্ত্য হতে পারিনি।  কখনো কখনো ছুটে পালিয়ে যেতে ইচ্ছা করে। নিজের কাছ থেকে কি পালানো যায়? এখনো তেমন কোন বন্ধু হয়নি।  সারাদিন অফিসের মাঝে কেটে যায়। বিকালে শুণ্য ঘরে ফিরতে ইচ্ছা করেনা। কাজের পরে তাই উইন্ডো শপিং করে বেড়াই। প্রয়োজনীয়, অপ্রয়োজোনীয় জিনিস কিনে ঘর ভরাই। আবার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স দেখে ভয় পেয়ে ফেরত দিয়ে আসি। এই বিশাল আধা চেনা শহরে একা একা ঘুরে বেড়াই।  এখানে অবহাওয়া এখন খুবই সুন্দর। বিকালের দিকে সাগর পারের হাওয়া গায়ে লাগে।  সারাদিনই প্রচন্ড বাতাস থাকে। এমন সুন্দর বিকাল গুলোতে খুব ইচ্ছা করে দৌড়াতে; বাঁধন ছাড়া , গন্তব্যহীন  মুক্ত দৌড়। কিন্তু নিরাপত্তার ভয়ে আমি জোড়ে টিভি ছেড়ে ঘরে বসে থাকি আর জাঙ্ক ফুড খাই। আগে একবারে বেশী বেশী রান্না করে রেখে দিতাম ,সারা সপ্তাহ জুড়ে সেটাই খেতাম। এ...

যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই ...যাহা পাই তাহা চাই না

তুমি আমি হেঁটে যাই পাশাপাশি সমান্তরাল রেল লাইনের মত; হয়তো আবার দেখা হবে শূণ্যে অথবা অসীমে যেখানে শোনা যায় না হদয় ভাঙ্গার আর্তনাদ; যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই ...যাহা পাই তাহা চাই না। পাশ করার পর মনে হয়েছিলো , আমি চাইলে আকাশ ছুঁতে পারি। আকাশের মেঘ গুলো আমার  পায়ে লুটায়। আমি তারো উপরে। নিজের পছন্দের ইন্ডাস্ট্রিতে, সবচেয়ে  ক্ষমতাশীল দলের হয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। আমেরিকার  তৈল রাজধানী হিউস্টোনে এসেছিলাম অনেক স্বপ্ন নিয়ে। তরুণ কর্মজীবীদের জন্য আদর্শ শহর।  স্বপ্ন সত্যি করার মত যোগত্যা আমার আছে। তিন মাসের মধ্যে আনেক অভিজ্ঞ লোকওকে ডিঙ্গিয়ে প্রোমোশনো পেয়ে গেছি। হয়তো এখানেই থেকে যেতে হবে আরো কিছুদিন। এরমাঝে ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমি থেকে আমরা হয়েছি।  চাইলেই নতুন শহরে আবাস গড়ার বিলাসিতা হারিয়ে গেছে। ঢুকে গেছে অনেক হিসাব নিকাশ, ভালো মন্দ। পুরনো শহরে ফেরত যাওয়ার ইচ্ছা অনেক ... কিন্তু সম্ভবনা কম। সময় গুলো বড্ড কঠিন হয়ে যাচ্ছে।  একটা সমস্যার সমাধানের হাত ধরে পরের সমস্যা এসে হাজির হচ্ছে।  জীবনের রিলে রেসে দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত লাগে আজকাল। আমি...

স্টেশন ভাসিয়ে বৃষ্টি

মনে পড়ে স্টেশন ভাসিয়ে বৃষ্টি রাজপথ ধ’রে ক্রমাগত সাইকেল ঘন্টির মতো চলে গেছে, পথিক সাবধান… শুধু স্বেচ্ছাচারী আমি, হাওয়া আর ভিক্ষুকের ঝুলি যেতে-যেতে ফিরে চায়, কুড়োতে-কুড়োতে দেয় ফেলে যেন তুমি, আলস্যে এলে না কাছে, নিছক সুদূর হয়ে থাকলে নিরাত্মীয় ; কিন্তু কেন? কেন, তা জানো না। মনে পড়বার জন্য? হবেও বা । স্বাধীনতাপ্রিয় ব’লে কি আক্ষেপ? কিন্তু বন্দী হয়ে আমি ভালো আছি। তবু কোনো খর রৌদ্রে, পাটকিলে কাকের চেরা ঠোঁটে তৃষ্ণার চেহারা দেখে কষ্ট পাই, বুঝে নিতে পারি জলের অভাবে নয়, কোন টক লালার কান্নায় তার মর্মছেঁড়া ডাক; কাক যেন তোমারই প্রতীক রূপে নয়, বরং স্বভাবে – মনে পড়ে, মনে পড়ে যায় কোথায় বিমূঢ় হয়ে বসে আছো হাঁ-করা তৃষ্ণায়! -শক্তি চট্টোপাধ্যায়

ফেলে আসা সময় আর ফেলে দেয়া লেখা

বহুদিন কিছু লেখা হয় না। মাঝে মাঝে যে কিছু লিখতে যে ইচ্ছা করে না তা নয়; হঠাত কখনো একটা দু'টা লাইন মাথায় ঝিলিক দিয়ে যায়, কখনো লিখে রাখি হাতের কাছের  কোন চির কূটে, নোটবুকের খোলা পাতায়।  সেটা কেবল একটা দুটা  খাপছাড়া শব্দই, কখনো সেগুলো পূর্ণ বাক্য হয়ে উঠে না । আর যদি কোন মতে দাড়ি (।) পর্যন্ত যেতে পারিও, সেটা অর্থপূর্ণ হয়ে ওঠে না। সেরকম কিছু ফেলে আসা সময়ের ফেলে দেয়া লেখা তুলে দিচ্ছি তোমার জন্য।   *** প্রেম করতে করতে অধৈর্য হয়ে মাঝে মাঝে ঝগড়া করি। আবার রাগ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে প্রেম করি।  *** আমার শহর ঢাকা। লোকে লোকারণ্য, গরম, ধূলো, ট্রাফিক জ্যাম, যত্রতত্র অবর্জনা, অপরিকল্পিত দোকানপাঠ...  এত্তকিছুর পরেও কোথায় যেন একটা মায়া আছে। ***  আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১১ উদ্বোবধনী খেলা বাংলাদেশ বনাম ভারত। গ্যালারীতে বসে সরাসরি দেখলাম। বহুবছর পর মিরপুর স্টেডিয়াম এ গেলাম। প্রায় অর্ধ মাইল আগে থেকে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। সবাই বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দিয়ে হাঁটছে। কেউ রঙ তুলি দিয়ে উল্কি আঁকছে, কেউ বাজাচ্ছে ভুভুজেলা, চারিদিকে উতসবের আমেজ। নিরাপত্তার খুব কড়াকড়ি ছিলো-...

ভাবনাগুলো এলোমেলো

সবকিছু বড্ড বেশী ধোঁয়াশা লাগে আজকাল।  পৃথিবী নতুন লাগছে। নাকি আমিই হয়তো বদলে গিয়েছি। কিংবা আমি না সময়টাই বদলে গিয়েছে। গতকাল একটা ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে খেয়াল করলাম বয়সের ঘরটা্র  পরিবর্তন হয়েছে।  বদলে গিয়েছে আরো অনেক কিছুই। সবাই সেমেষ্টার  ফাইনাল পরীক্ষার জন্য পড়ছে। আমার স্কুল নেই, বই নেই, পরীক্ষা নেই। কখনো ভাবিনি পরীক্ষা নেই বলে অফসোস করবো !!! হয়তো আমিই বদলে গিয়েছি অনেক বেশি। জীবনে এসে পড়েছে অনেক দায়িত্ব। অচেনা কিছু মানুষ নতুন সম্পর্কের টানে আপন হয়ে উঠেছে; আবার আপন কিছু মানুষ অদ্ভূত নির্লিপ্ততায় দূরে সরে গেছে।  স্বতঃস্ফূর্ত জীবনের মাঝে ঢুকে গিয়েছে  হিসাব নিকেশ, অনেক প্রত্যাশা আর  হতাশা। আর ঠিক এক সপ্তাহ পরে চলে যাচ্ছি নতুন একটা শহরে।  অনিশ্চিত জীবনে।  আবার কখনো হয়তো ফিরে আসবো এই চেনা শহরে, কিন্তু তখন কী আজকের চেনা মানুষ গুলো এমনই থাকবে?? সব পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করতে গিয়ে যেন তলিয়ে যাচ্ছি।