আমার কৈশোরের একটা বড অংশ কেটেছে হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ে। হিমু, মিসির আলি, শুভ্র, উপন্যাস, ছোটগল্প, রহস্যগল্প। সবই গোগ্রাসে গিলেছি নাওয়া খাওয়া ভুলে। কিছু মনে দাগ কেটেছে; কিছু হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সময় কেটেছে দারুণ। সে বয়েসে যেটা হয়, যেই বই -ই পড়ি সে বইয়েই নায়িকা হতে ইচ্ছা করে। বই শেষে আচ্ছন্ন হয়ে যাই এক অদ্ভূত রোমান্টিকতায়। মনে মনে কতবার আমি নীতু, নীরা, মীরা, রুপা হতে চেয়ে আশেপাশের সবার সাথে দুর্বোধ্য ব্যবহার করেছি। মোহাচ্ছন্ন বেপরোয়া আচরণের জন্য কত বকা খেয়েছি। কৈশোরে চেপে ধরা সেই রোমান্টিকতা আমার আজও যায়নি। এখনো আমার নীতুর মত প্রচন্ড, ওলোট পালোট করা, বোকার মত, বাঁধণ ছাড়া, নিয়ন্ত্রনহীন পাগলের মত ভালোবাসতে; ভালোবাসা পেতে ইচ্ছা করে। বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল হাতে হারিয়ে যেতে ইচ্ছা করে। ভরা পূর্ণিমায় নীল জ্যোতস্নায় ভেসে যেতে ইচ্ছা করে।
প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ ক্যান্সারে আক্রান্ত। অনেকেই তার সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছে। অনেকেই তার ব্যক্তিজীবন আর বাজারি লেখার কথা তুলে ধুঁয়ো দিচ্ছে। ভবিষ্যতে কি হবে জানি না। হয়তো প্রিয় লেখকের আরও অনেক নতুন লেখায়, নতুন সময়ের আরোও বহু তরুণ তরুনী হিমু, রুপা, শুভ্র, নীরা হতে চাইবে - এই কামনা করছি।
প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ ক্যান্সারে আক্রান্ত। অনেকেই তার সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছে। অনেকেই তার ব্যক্তিজীবন আর বাজারি লেখার কথা তুলে ধুঁয়ো দিচ্ছে। ভবিষ্যতে কি হবে জানি না। হয়তো প্রিয় লেখকের আরও অনেক নতুন লেখায়, নতুন সময়ের আরোও বহু তরুণ তরুনী হিমু, রুপা, শুভ্র, নীরা হতে চাইবে - এই কামনা করছি।
Comments
Post a Comment