চারপাশের সব কিছু - পরিবেশ, মানুষ, অর্থনীতি খুব দ্রুত পরিবর্তনশীল। এত্ত পরিবর্তনের ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি। কেবন মনে হচ্ছে , পথে যদি একটু তিষ্টোতে পারতাম। এর মাঝে নিজেকে অরগ্যান দাতা হিসাবে তালিকাভুক্ত করলাম। সোনামনির অসুস্থতার পর থেকে মনে হচ্ছে , reuse, reduce, recycle. মানুষও হয়তো রি সাইকেল যোগ্য। রি- সাইকেলের কী কোন বাংলা আছে??? পুনঃব্যবহার????
শুনলেই বংগ বাজারের সেকেন্ড হ্যান্ড মার্কেটের কথা মনে হয় ! তবে এখন একটু ভয় লাগছে , সবাই যখন খুব স্মার্টলি বেহেশতে যাবে ... আমি যাব অরগ্যান ছাড়া। খুব বেশী সুখকর ভাবনা না!
কদিন আগে রেডিও তে শুনলাম, অরগ্যান পাওয়ার নিয়ম কানুনে পরিবর্তন আসছে। আগে, আগে আসিলে আগে পাইবে ভিত্তিতে অরগ্যান দেয়া হত। এতে হয়তো ৩০ বছরেরে কিডনি প্রতিস্থাপণ করা হত ৮০ বছরের কারোর দেহে আথবা উল্টোটা । সে হয়তো বাঁচবে বড় জোর আর ৫ বছর। নতুন নিয়মে সবচেয়ে বেশী বাঁচার সম্ভবনা যার তাকেই দেয়া হবে সেরা অরগ্যানটা। একজন অরগ্যান দাতা হিসাবে আমি নতুন নিয়মটা আমা্র কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে। আমি অবশ্যই চাইবো আর কারো মাধ্যমে সবচেয়ে বেশী সময় বেঁচে থাকতে। কিন্তু খুব প্রিয় কারো যদি কখনো কোন অরগ্যানের প্রোয়োজন হয় তখন নিশ্চয়ই এই নিয়মকে অনৈতিক মনে হবে।
শুনলেই বংগ বাজারের সেকেন্ড হ্যান্ড মার্কেটের কথা মনে হয় ! তবে এখন একটু ভয় লাগছে , সবাই যখন খুব স্মার্টলি বেহেশতে যাবে ... আমি যাব অরগ্যান ছাড়া। খুব বেশী সুখকর ভাবনা না!
কদিন আগে রেডিও তে শুনলাম, অরগ্যান পাওয়ার নিয়ম কানুনে পরিবর্তন আসছে। আগে, আগে আসিলে আগে পাইবে ভিত্তিতে অরগ্যান দেয়া হত। এতে হয়তো ৩০ বছরেরে কিডনি প্রতিস্থাপণ করা হত ৮০ বছরের কারোর দেহে আথবা উল্টোটা । সে হয়তো বাঁচবে বড় জোর আর ৫ বছর। নতুন নিয়মে সবচেয়ে বেশী বাঁচার সম্ভবনা যার তাকেই দেয়া হবে সেরা অরগ্যানটা। একজন অরগ্যান দাতা হিসাবে আমি নতুন নিয়মটা আমা্র কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে। আমি অবশ্যই চাইবো আর কারো মাধ্যমে সবচেয়ে বেশী সময় বেঁচে থাকতে। কিন্তু খুব প্রিয় কারো যদি কখনো কোন অরগ্যানের প্রোয়োজন হয় তখন নিশ্চয়ই এই নিয়মকে অনৈতিক মনে হবে।
জীবনে প্রথম ইন্টারভিউ নিলাম। যদিও প্রশীক্ষণ দেয়া হয়েছিলো কিভাবে প্রার্থী বাছাই করতে হয়। কিভাবে প্রশ্ন করতে হয়। তবুও ভয় লাগছিলো প্রথমে। তারপর দেখলাম কথার পিঠে ভালোই প্রশ্ন করে পারছি। আমার সাথে আরো দু'জন ছিলো। একজন সবচাইতে নিরাপদ প্রার্থীকেই নির্বাচন করবে। আমি আর যোশেফ তুলনা মূলক ভাবে রিস্কি প্রার্থীকেই চূড়ান্ত করলাম, যে হয়ত ভুল করবে, কিন্তু এই ভুল থেকে শিখতে পারলে বহু ডুর যাবে। দেখা যাক কেমন হয়।
প্রায় আড়াই মাস হলো , মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। মাছ এখনো খাই অবশ্য। টেক্সাসে মাংশ না খাওয়াটা খুবই অসুবিধাজনক। বেশিরভাগ দোকানেই সবজি আইটেম থাকে হাতে গোনা দু- একটা। মাছেরও খুব বেশি প্রকারভেদ নেই। স্যমন, তেলাপিয়া, ক্যাটফিশ মোটামোটি সহজলভ্য দাম মাংশের চেয়ে বেশী হলেও আয়ত্তের মধ্যে। সীব্যাস আর ফ্লাউন্ডারের দাম অস্বাভাবিক বেশি। আর বাকী থাকলো ডিম আর দুধ !
মাংশ খেতে ইচ্ছা না করলেও, ভালো প্রোটিনের অভাব বোধ করছি। মাছ রান্না দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার আর ডাল আর বিন খেয়ে পুরো প্রোটিনের অভাব পূরণ হয় না। টফুর আর রাবারের স্বাদের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই।
এবছর ভালোই ঘুরাঘুরি হয়েছে। মাড়ডি গ্রা দেখলাম নিউ অরলিন্স গিয়ে। আমার প্রত্যাশা আরেকটু বেশী ছিল। আসলে গুরুজনদের সাথে যাওয়ায় পুরো আমেজটা পাইনি। তার পরেও মালা কুড়াতে আর প্যাড়েড দেখতে খুবই ভালো লেগেছে।
গ্রীষ্মে গেলাম ওয়াশিংটনে। মাউন্ট অলিম্পিক, রেনিয়ার, নারাডা জলপ্রপাত, রুবি সমুদ্র তীর সব মিলিয়ে অসম্ভব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা একটা জায়গা। এখানেই প্রথম বরফের মধ্যে পাহাড়ে উঠলাম। আর আরামদায়ক উষনোতায়, ধোয়া উঠা কফির মগ নিয়ে পাহারের চূড়ায় বরফ দেখার মজাই আলাদা।
ফলে দেড় দিনের ছোট্ট ট্রিপে আটলান্টার স্টোন মাউন্টেনে গেলাম আমেরিকার আদিবাসী (Indian Pow Wow) উত্সব দেখতে। গ্রানাইটের খোদাই করে , পাহাড়ের গায়ে বানানো বিশাল ভাস্কর্য। এখানে পাহাড় বেয়ে প্রায় ১.৫ মেইল নিচে নামলাম। অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
থ্যাঙ্কসগিভিং এর ছুটিতে হূট করেই লস এঞ্জেলেস চলে গেলাম। এখানে সব ধরণের চিজি পর্যটক কেন্দ্র দেখে ফেললাম। তবে সব চেয়ে ভালো লেগেছে - গেটি সেন্টার। গেটি সেন্টারের বিশাল ছবির সংগ্রহ, নয়নাভিরাম বাগান, গাইডেড ট্যুর, রক্ষণা বেক্ষন - এককথায় অসাধারণ। এর মাঝে আমার সব চেয়ে ভালো লেগেছে ক্লদ মনের সুর্যদয়ের ছবিগুলো। অদ্ভূত গভীরতা । কাছে থেকে কিছুই বোঝা যায় না কিন্তু দূর থেকে কত নিঁখুত সবকিছু !! ভাষায় প্রকাশের বাইরে।
ক্রিসমাসের ছুটিয়ে ৯ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে গেলাম ফ্লোরিডার ডেস্টিন বিচে। ঝকঝকে সবুজ পানি, আর চকচকে সাদা বালুর তীর। খুবই নিরিবিলি। যদিও খুব ঠান্ডা ছিলো , তবে খুব শান্ত, স্নিগ্ধ এক জায়গা।
আর টেক্সাসের মধ্য, স্যান এ্যন্টোনিয়োর পাতাল গুহা (caverns) , করপাস ক্রিস্টির সগার তীর, পাদ্রে দ্বীপ তো আছেই। সব মিলিয়ে ২০১২ তে ঘুরাঘুরি হোয়েছে প্রচুর আর সে সাথে জমা হয়েছে অনেক মজার মজার সব অভিজ্ঞতা !!!
Comments
Post a Comment