স্বপ্ন বিড়ম্বনা
আজকাল মাঝে মাঝেই একটা স্বপ্ন দেখি - দেশে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছি, কিন্তু যেতে পারছি না। আমাকে ফেলে রেখেই প্লেন চলে যাচ্ছে। একটু এদিক সেদিক করে বারে বারে এ স্বপ্নটা দেখি। ভয় হয়- আদৌ কী আর দেশে যাওয়া হবে ?
নামের কথকথা
আমার নামে কোমল বর্ণ থাকলেও, ইংরেজী ভাষীরা দু'-একবারের চেষ্টাতে মোটামোটি উচ্চারণ করতে পারে। লোকজন ডাকে "ড়াডিয়া/ র্যাডিয়া/রাদিয়া" এর মাঝামাঝি কিছু। সবার মুখে শুনতে শুনতে আমিও পরিচয় দি ড়াডিয়া। সম্বোধন নিয়ে আমার তেমন কোন প্রেজুডিস নাই। কারো নাম সম্বোধন না করেও দীর্ঘ সময় কথা বলা যায়।
আজকাল লক্ষ্য করছি মানুষ জন আমাকে ডাকছে "ড়ায্যা/রাযা/রায্যায়া/র্যায্যায় "। কেবল নতুন পরিচিতরা না , অন্যরাও বলছে।, বহুদিন পর কথা হওয়া আমার পুরানো বসও আমাকে "ড়ায্যা/রাযা/রায্যায়া " বলছে। ও আমাকে আগে ঠিকই র্যাডিয়া বলত এবং ওর সামনে আবশ্যই আমার নাম লেখা ছিল। তাহলে কী ভাষার বিবর্তনে "ডি "(D) উচ্চারণ আজকাল "যি" (Z) এর মত হয়ে যাচ্ছে? নাকি আমার শোনায় ভুল?
মরিচীকা
প্রচন্ড গরম। বাইরে বের হলেই গা চিরবির করে। প্রায় প্রতিদিনই তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রী ফা. এর আশেপাশে থাকছে। মাঝে মাঝে একটা দুটা ভাসা মেঘ দেখা যায়। এতে গরম আরো বেড়ে যায়। গুমোট দশা। গরম থেকে বাচঁতে জানালায় ভারী পর্দা টেনে- ঘরে বাতি জ্বলিয়ে রেখেছি। আর সাথে বেজে চলেছে বৃষ্টির শব্দ। বৃষ্টি শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি। ঘুম থেকে উঠে বিভ্রান্ত হয়ে যাই। আইটিঊনের বৃষ্টিকে সত্য মনে হয়। ঝুম বৃষ্টিতে ভিজবো বলে বারান্দায় এসে দাড়াই - বাইরে তখনো গনগনে সূর্যটা চোখ পাকিয়ে আছে
Waka Waka
ফুটবল আমার তেমন পছন্দের খেলা নয়। তবে বিশ্বকাপের কথা আলাদা। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে খেলার খোঁজ খবর রাখি । এবার সহকর্মীদের পাল্লায় পরে ভালোই আপডেট পাচ্ছি। অফিসে বসে সবাই লাইভ খেলা দেখে। গোল হলেই নোটিফিকেশন আসতে থাকে। ভিন্ন দলের সমর্থকদের মধ্যে মৃদু ইট -পাটকেল চলে।সবার মধ্যেই বিশ্বকাপ উন্মাদনা। সব মিলিয়ে আমি এবারের বিশ্বকাপ উপভোগ করছি। আসলে খেলা সবাই মিলে না দেখতে পারলে জমে না। আমি ইউ.এস.এ আর ব্রাজিলকে সমর্থন করছি।
তবে ফুটবলের জ্বরে অনেকই অন্যদেশের পতাকাকে অবমাননা করছে। ফেসবুকে দেখি প্রতিদ্বন্দী দলের দেশের জাতীয় পতাকাকে হেয় করে ছবি বানিয়ে - তাতে আবার বন্ধুদের ট্যাগ করে। এরকম একটা ছবিতে ট্যাগিত হওয়ার পর এক দক্ষিণ আমেরিকান বন্ধুর কাছে খুবই বিব্রত হতে হয়েছে।
ওয়েল স্পিল
গালফ অব মেক্সিকো উপকূলে , ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের একটা তেল খনিতে বিস্ফোরণ হয়ে পুরো উপকূলে তেল ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিন প্রায় ৪০-৫০ হাজার গ্যালন তেল ছড়িয়ে পড়ছে খোলা সাগরে। এই তেল লুইজিয়ানা থেকে ফ্লোরিডার উপকূল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। মাছ, সামুদ্রিক প্রাণী মারা যাচ্ছে। প্রায় দু'মাস হতে চললো এখনো বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। এই দুর্যোগের সাথে সিলেটের ট্যাংরাটিলার গ্যাস বিস্ফোরণের অনেক মিল। বড় বড় কোম্পানিগুলো প্রাকৃতিক সম্পদ আহোরণের জন্য যে পরিমান অর্থ ব্যয় করে, সে তুলনায় এসব খনির রক্ষণাবেক্ষনের জন্য কিছুই প্রায় খরচ করে না।
সবচেয়ে খারাপ লেগেছে ব্রাউন পেলিকিনদের জন্য। এই পাখিটি মাত্র গত বছর বিলুপ্ত প্রায় প্রানীর তালিকা থেকে বেরিয়ে এসেছে। আমার খুবই ইচ্ছা করছে এই পাখিগুলোকে বাচাঁনোর জন্য কিছু করতে।
আজকাল মাঝে মাঝেই একটা স্বপ্ন দেখি - দেশে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছি, কিন্তু যেতে পারছি না। আমাকে ফেলে রেখেই প্লেন চলে যাচ্ছে। একটু এদিক সেদিক করে বারে বারে এ স্বপ্নটা দেখি। ভয় হয়- আদৌ কী আর দেশে যাওয়া হবে ?
নামের কথকথা
আমার নামে কোমল বর্ণ থাকলেও, ইংরেজী ভাষীরা দু'-একবারের চেষ্টাতে মোটামোটি উচ্চারণ করতে পারে। লোকজন ডাকে "ড়াডিয়া/ র্যাডিয়া/রাদিয়া" এর মাঝামাঝি কিছু। সবার মুখে শুনতে শুনতে আমিও পরিচয় দি ড়াডিয়া। সম্বোধন নিয়ে আমার তেমন কোন প্রেজুডিস নাই। কারো নাম সম্বোধন না করেও দীর্ঘ সময় কথা বলা যায়।
আজকাল লক্ষ্য করছি মানুষ জন আমাকে ডাকছে "ড়ায্যা/রাযা/রায্যায়া/র্যায্যায় "। কেবল নতুন পরিচিতরা না , অন্যরাও বলছে।, বহুদিন পর কথা হওয়া আমার পুরানো বসও আমাকে "ড়ায্যা/রাযা/রায্যায়া " বলছে। ও আমাকে আগে ঠিকই র্যাডিয়া বলত এবং ওর সামনে আবশ্যই আমার নাম লেখা ছিল। তাহলে কী ভাষার বিবর্তনে "ডি "(D) উচ্চারণ আজকাল "যি" (Z) এর মত হয়ে যাচ্ছে? নাকি আমার শোনায় ভুল?
মরিচীকা
প্রচন্ড গরম। বাইরে বের হলেই গা চিরবির করে। প্রায় প্রতিদিনই তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রী ফা. এর আশেপাশে থাকছে। মাঝে মাঝে একটা দুটা ভাসা মেঘ দেখা যায়। এতে গরম আরো বেড়ে যায়। গুমোট দশা। গরম থেকে বাচঁতে জানালায় ভারী পর্দা টেনে- ঘরে বাতি জ্বলিয়ে রেখেছি। আর সাথে বেজে চলেছে বৃষ্টির শব্দ। বৃষ্টি শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি। ঘুম থেকে উঠে বিভ্রান্ত হয়ে যাই। আইটিঊনের বৃষ্টিকে সত্য মনে হয়। ঝুম বৃষ্টিতে ভিজবো বলে বারান্দায় এসে দাড়াই - বাইরে তখনো গনগনে সূর্যটা চোখ পাকিয়ে আছে
Waka Waka
ফুটবল আমার তেমন পছন্দের খেলা নয়। তবে বিশ্বকাপের কথা আলাদা। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে খেলার খোঁজ খবর রাখি । এবার সহকর্মীদের পাল্লায় পরে ভালোই আপডেট পাচ্ছি। অফিসে বসে সবাই লাইভ খেলা দেখে। গোল হলেই নোটিফিকেশন আসতে থাকে। ভিন্ন দলের সমর্থকদের মধ্যে মৃদু ইট -পাটকেল চলে।সবার মধ্যেই বিশ্বকাপ উন্মাদনা। সব মিলিয়ে আমি এবারের বিশ্বকাপ উপভোগ করছি। আসলে খেলা সবাই মিলে না দেখতে পারলে জমে না। আমি ইউ.এস.এ আর ব্রাজিলকে সমর্থন করছি।
তবে ফুটবলের জ্বরে অনেকই অন্যদেশের পতাকাকে অবমাননা করছে। ফেসবুকে দেখি প্রতিদ্বন্দী দলের দেশের জাতীয় পতাকাকে হেয় করে ছবি বানিয়ে - তাতে আবার বন্ধুদের ট্যাগ করে। এরকম একটা ছবিতে ট্যাগিত হওয়ার পর এক দক্ষিণ আমেরিকান বন্ধুর কাছে খুবই বিব্রত হতে হয়েছে।
ওয়েল স্পিল
গালফ অব মেক্সিকো উপকূলে , ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের একটা তেল খনিতে বিস্ফোরণ হয়ে পুরো উপকূলে তেল ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিন প্রায় ৪০-৫০ হাজার গ্যালন তেল ছড়িয়ে পড়ছে খোলা সাগরে। এই তেল লুইজিয়ানা থেকে ফ্লোরিডার উপকূল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। মাছ, সামুদ্রিক প্রাণী মারা যাচ্ছে। প্রায় দু'মাস হতে চললো এখনো বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। এই দুর্যোগের সাথে সিলেটের ট্যাংরাটিলার গ্যাস বিস্ফোরণের অনেক মিল। বড় বড় কোম্পানিগুলো প্রাকৃতিক সম্পদ আহোরণের জন্য যে পরিমান অর্থ ব্যয় করে, সে তুলনায় এসব খনির রক্ষণাবেক্ষনের জন্য কিছুই প্রায় খরচ করে না।
সবচেয়ে খারাপ লেগেছে ব্রাউন পেলিকিনদের জন্য। এই পাখিটি মাত্র গত বছর বিলুপ্ত প্রায় প্রানীর তালিকা থেকে বেরিয়ে এসেছে। আমার খুবই ইচ্ছা করছে এই পাখিগুলোকে বাচাঁনোর জন্য কিছু করতে।
Comments
Post a Comment