গত ক'দিন ধরেই সবার কাছে ওয়েক -আপ সিডের কথা শুনছিলাম। কাহিনী বেশ সাদামাটা। তবে চিত্রায়নে গতি আছে।
সিড ধনী বাবা-মা এর একমাত্র সন্তান। কলেজের শেষ পরীক্ষা দিয়ে হাতে অফুরান সময়। তার জীবনের ইচ্ছা সে বাবার টাকা খরচ করবে। অন্যদিকে নায়িকা আয়েশা কোলকাতা থেকে মাত্র মুম্বাই এসেছে, লেখক হবার স্বপ্ন নিয়ে। কলেজ শেষে সিডের বন্ধুরা যে যার জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সিড তখন আযেশা কে মুম্বাইয়ে জীবন গড়তে সাহায্য করে। একসময় সিডের পরীক্ষার ফল বের হয়, সিড পাশ করতে পারেনি। সিডের বাবা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। সিড , আয়েশার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। আয়েশা সিডকে সাহায্য করে নিজের পায়ে দাড়াঁতে। একসাথে থাকতে থাকতে তাদের মধ্যে প্রেম হয়। একদিন বাবার রাগ ভাঙ্গে; সিড তার ঘরে ফিরে যায়। আয়েশা তখন পত্রিকায় একটা আর্টিকেল লেখে, যা দেখে সিড আবার ফিরে আসে। সংক্ষেপে এই হল ওয়েক আপ সিডের কাহিনী।
এ ধরনের কাহিনী নিয়ে এর আগেও বহু নাটক সিনেমা হয়েছে। তাহলে ওয়েক আপ সিড নিয়ে লিখছি কেন?
কারণ রণবীর কাপুর। এই ছবি বের হওয়ার পর থেকে আমার সব ক্ষুদে বান্ধবী আর কাজিনদের স্ট্যাটাসে কেবলই সিড। এই ছবির টার্গেট দর্শকও টিনেজ মেয়েরা।সিডের চরিত্রে রণবীর কাপুর দারূণ অভিনয় করেছে। তবে সিডকে অপরিণত দেখানোর জন্য টম অ্যান্ড জেরী টি-শার্ট বা লাল হার্ট বক্সার পরানোটা কিছুটা হাস্যকর । আর কঙ্কণা সেন শর্মা শুকিয়ে মূলধারার হিন্দী ছবির নায়িকাদের মত হয়ে গেছে। এই ছবিতে কোন কমিডিয়ান নেই। তবে সিডের মাকে দিয়ে হাস্যকর ভাবে ইংরেজী বলিয়ে হয়তো পরিচালক কিছুটা হিউমার সঞ্চার করতে চেয়েছিলেন। যে চেষ্টা তেমন সফল হয়নি, বরং আরোপিত মনে হয়েছে।
শঙ্কর- এহসান -লয়ের গান-সুর নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। প্রতিটি ট্র্যাকই অসাধারণ লেগেছে। বিশেষ করে এক-তারা গানটা। ছবি দেখে মোটামোটি হিন্দী বুঝলেও, গানের কথা গুলো বুঝতে পারিনি। সুরটা এত্ত মন কাড়া যে গানের লিরিকটা জানতে ইচ্ছা করছে। এখানে ইউটিউব ভিডিওটা এম্বেড করে দিলাম।
সব মিলিয়ে, অলস দুপুরে দেখার মত একটা সিনেমা হল ওয়েক-আপ- সিড।
প্রথম প্রকাশ : সচলায়তন ১১-৩০ - ২০০৯
সিড ধনী বাবা-মা এর একমাত্র সন্তান। কলেজের শেষ পরীক্ষা দিয়ে হাতে অফুরান সময়। তার জীবনের ইচ্ছা সে বাবার টাকা খরচ করবে। অন্যদিকে নায়িকা আয়েশা কোলকাতা থেকে মাত্র মুম্বাই এসেছে, লেখক হবার স্বপ্ন নিয়ে। কলেজ শেষে সিডের বন্ধুরা যে যার জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সিড তখন আযেশা কে মুম্বাইয়ে জীবন গড়তে সাহায্য করে। একসময় সিডের পরীক্ষার ফল বের হয়, সিড পাশ করতে পারেনি। সিডের বাবা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। সিড , আয়েশার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। আয়েশা সিডকে সাহায্য করে নিজের পায়ে দাড়াঁতে। একসাথে থাকতে থাকতে তাদের মধ্যে প্রেম হয়। একদিন বাবার রাগ ভাঙ্গে; সিড তার ঘরে ফিরে যায়। আয়েশা তখন পত্রিকায় একটা আর্টিকেল লেখে, যা দেখে সিড আবার ফিরে আসে। সংক্ষেপে এই হল ওয়েক আপ সিডের কাহিনী।
এ ধরনের কাহিনী নিয়ে এর আগেও বহু নাটক সিনেমা হয়েছে। তাহলে ওয়েক আপ সিড নিয়ে লিখছি কেন?
কারণ রণবীর কাপুর। এই ছবি বের হওয়ার পর থেকে আমার সব ক্ষুদে বান্ধবী আর কাজিনদের স্ট্যাটাসে কেবলই সিড। এই ছবির টার্গেট দর্শকও টিনেজ মেয়েরা।সিডের চরিত্রে রণবীর কাপুর দারূণ অভিনয় করেছে। তবে সিডকে অপরিণত দেখানোর জন্য টম অ্যান্ড জেরী টি-শার্ট বা লাল হার্ট বক্সার পরানোটা কিছুটা হাস্যকর । আর কঙ্কণা সেন শর্মা শুকিয়ে মূলধারার হিন্দী ছবির নায়িকাদের মত হয়ে গেছে। এই ছবিতে কোন কমিডিয়ান নেই। তবে সিডের মাকে দিয়ে হাস্যকর ভাবে ইংরেজী বলিয়ে হয়তো পরিচালক কিছুটা হিউমার সঞ্চার করতে চেয়েছিলেন। যে চেষ্টা তেমন সফল হয়নি, বরং আরোপিত মনে হয়েছে।
শঙ্কর- এহসান -লয়ের গান-সুর নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। প্রতিটি ট্র্যাকই অসাধারণ লেগেছে। বিশেষ করে এক-তারা গানটা। ছবি দেখে মোটামোটি হিন্দী বুঝলেও, গানের কথা গুলো বুঝতে পারিনি। সুরটা এত্ত মন কাড়া যে গানের লিরিকটা জানতে ইচ্ছা করছে। এখানে ইউটিউব ভিডিওটা এম্বেড করে দিলাম।
সব মিলিয়ে, অলস দুপুরে দেখার মত একটা সিনেমা হল ওয়েক-আপ- সিড।
প্রথম প্রকাশ : সচলায়তন ১১-৩০ - ২০০৯