ছোটবেলায় আমাদের অনুবাদ শেখানো হত সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না- Time and tide waits for none. কিন্তু আমারিকাতে এসে দেখলাম কিসের কি? এদেশে ৭ ধরনের সময় জোন আছে। দেশের এক প্রান্তে যখন সকাল আটটা , অন্য প্রান্তে বেলা বারোটা । একি দেশের বিভিন্নখানে বিভিন্ন সময়। দেশটা মাশাল্লাহ্ বিশাল, তাই একাধিক সময় জোন থাকা টা হয়তো প্রয়োজন। কিন্তু একই স্টেটে দুই রকম সময়ের কি মানে থাকতে পারে সেটা অনেক চিন্তা করেও বার করতে পারলাম না। এর উপর আরো ঝামেলা করতে এরা চালু করেছে “দিনের আলো সঞ্চয়”( Daylight Saving Time) সময়। দিনের আলো ধরে রাখতে বসন্তে ঘড়ি এক ঘন্টা পিছিয়ে দেয়া হয়। অ্যারিজোনা ছাড়া অনয সর স্টেটে বছরে প্রায় আট মাসই চালু থাকে এই সময়। তাই এখন সকাল হয়ে যায় সূর্য ওঠার আগেই।
দিনের আলো সঞ্চয় সময়ের পিছনের পুথিঁগত কারণটা হল দিনের আলো বেশী সময় থাকলে বাতি জ্বালাতে হবে কম; এতে করে এনার্জি সেইভ হবে। কিন্তু এদেশে সব অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ চলে কৃত্তিম আলোতে। শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে কার্যকরী করতে বেশীরভাগ জানালাতেই থাকে ভারী পর্দা। সেই পর্দা ভেদ করে যদি কিছু অলো ঢুকতেও পারে, তা কাজ করার পক্ষে যথেষ্ট নয়।
শোনা যায় দিনের আলো সঞ্চয় সময় চালুর প্রধান কারণ ম্যুভি ইন্ডাস্ট্রি। লোকজন যদি সূর্য ডোবার আগে কাজ থেকে ফিরতে পারলে বাড়তি সময়টাতে ম্যুভি দেখতে থিয়েটারে যেতে পারবে। এই অনুমানের সত্যতা নিয়ে আমার যথেষ্টি সন্দেহ আছে। সূর্য ওঠার আগে কাউকে ঘর ছাড়তে হলে, সে নিশ্চয়ই রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যেতে চাইবে। গবেষনায় দেখা গেছে মানুষের মস্তিস্ক সবচেয়ে বেশী কর্মক্ষম থাকে সুর্য ওঠার এক ঘন্টা পর থেকে সূর্য ডোবার এক ঘন্টা পর পর্যন্ত। বিনোদনের জন্য কর্মক্ষমতার এমন নিদারুন অপচয় কেবল এদেশেই সম্ভব।
যেটা বলতে এতক্ষ্ণ শিবের গীত গাইলাম, তা হল গত রবিবার থেকে দিনের আলো সঞ্চয় সময় শুরু হয়েছে। সকালে যখন এ্যালার্ম বাজে দেখি চারিদিক অন্ধকার। এ্যালার্মটা বন্ধ করে আবার কিছুক্ষ্ণ ঘুমাই। রোজই দেরী হচ্ছে। আর এই দেরীর ডোমিনো এফেক্ট পড়ছে সারাদিন, সব কাজে।
X-( তিখা তিখা তিখা X-(
একটা ভলো দিক হল, ফযরের নামাযটা আর কাযা হচ্ছে না।
দিনের আলো সঞ্চয় সময়ের পিছনের পুথিঁগত কারণটা হল দিনের আলো বেশী সময় থাকলে বাতি জ্বালাতে হবে কম; এতে করে এনার্জি সেইভ হবে। কিন্তু এদেশে সব অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ চলে কৃত্তিম আলোতে। শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে কার্যকরী করতে বেশীরভাগ জানালাতেই থাকে ভারী পর্দা। সেই পর্দা ভেদ করে যদি কিছু অলো ঢুকতেও পারে, তা কাজ করার পক্ষে যথেষ্ট নয়।
শোনা যায় দিনের আলো সঞ্চয় সময় চালুর প্রধান কারণ ম্যুভি ইন্ডাস্ট্রি। লোকজন যদি সূর্য ডোবার আগে কাজ থেকে ফিরতে পারলে বাড়তি সময়টাতে ম্যুভি দেখতে থিয়েটারে যেতে পারবে। এই অনুমানের সত্যতা নিয়ে আমার যথেষ্টি সন্দেহ আছে। সূর্য ওঠার আগে কাউকে ঘর ছাড়তে হলে, সে নিশ্চয়ই রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যেতে চাইবে। গবেষনায় দেখা গেছে মানুষের মস্তিস্ক সবচেয়ে বেশী কর্মক্ষম থাকে সুর্য ওঠার এক ঘন্টা পর থেকে সূর্য ডোবার এক ঘন্টা পর পর্যন্ত। বিনোদনের জন্য কর্মক্ষমতার এমন নিদারুন অপচয় কেবল এদেশেই সম্ভব।
যেটা বলতে এতক্ষ্ণ শিবের গীত গাইলাম, তা হল গত রবিবার থেকে দিনের আলো সঞ্চয় সময় শুরু হয়েছে। সকালে যখন এ্যালার্ম বাজে দেখি চারিদিক অন্ধকার। এ্যালার্মটা বন্ধ করে আবার কিছুক্ষ্ণ ঘুমাই। রোজই দেরী হচ্ছে। আর এই দেরীর ডোমিনো এফেক্ট পড়ছে সারাদিন, সব কাজে।
X-( তিখা তিখা তিখা X-(
একটা ভলো দিক হল, ফযরের নামাযটা আর কাযা হচ্ছে না।
Comments
Post a Comment