Skip to main content

Posts

Showing posts from September, 2009

নানা রঙের ঈদ

সাদা- কালো ঈদ ছোটবেলার ঈদগুলো ছিলো সাদা কালো। ইফতারি শেষে দৌড়ে ছাদে উঠে , ঈদের চাঁদ দেখা, বিটিভিতে "রমজানের ঐ রোজার শেষে" শুনতে শুনতে প্ললবী (দাদীর বাসায়) যাওয়ার জন্য তৈরী হতাম। ঈদের দিন সকালে মায়ের তাড়া খেয়ে নতুন জামা পড়তাম। মা নিজের হাতে তিন বোনের একই রকম জামা বানিয়ে দিত। মামের (দাদী) বিখ্যাত পায়েস দিয়ে ঈদের সকালে নাস্তা করতাম। তারপর বাবা চলে যেত নামাযে। সে সময় ঢাকায় মেয়েদের ঈদের নামায পড়ার রেওয়াজ ছিল না ।এ সময়টা মা তাই খুব মন খারাপ করে থাকত- তার কোন ছেলে নেই দেখে বাবাকে একা ঈদের নামায পড়তে যাচ্ছে। বাবা ফিরে এলে সালাম করে সালামি নিতাম বড়দের কাছ থেকে। দুইটা কারণে ঈদ আমার খুব প্রিয় ছিল সে সময় - প্রথমতো একমাত্র ঈদ সালামিই ছিল আমাদের বাত্‌সরিক রোজগার আর ওই দিন আমার সাজার অনুমতি ছিল। সালামি শিকারের পর হত ফটো সেশন। তিন বোনকে একই রকম জামা পড়িয়ে ছাদে দাঁড় করিয়ে ছবি তোলা হত। আমার ছোটবেলার প্রায় সব ঈদের ছবিই একই পোজে, একই জায়গায় তোলা। বিকাল তিনটা থেকে শুরু হত বিটিভির ঈদ অনুষ্ঠান। প্রথমেই থাকত পূর্নদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি। মামের টিভিটা ছিলো সাদা-কালো। তাই ছোটবেলার সেই ঈদগুলো আমার

এলোমেলো দিনলিপি

গানে গানে আমি গানের ব্যাপারে একটু বাতিকগ্রস্ত। যদি কোন গান ভালো লেগে যায় তবে সেটা কয়েক লক্ষবার শুনি। এক সময় গানটা মন্ত্রের মত লাগতে থাকে। তখন আর গানটা শুনতে পারি না। তখন গানটা শুনতে শারিরীক কষ্ট হয়। আজকাল ভালো লাগার মত গানও কমে গেছে। যা ভালো লেগেছিলো তা বহুবার শোনা হয়ে গেছে। নতুন কিছু তেমন ভালো লাগেনি। আইপড আপডেট করা হয় না তাই বহুদিন। শোনাও হয় কেবল দৌড়ানোর সময়। আজকাল তাই রেডিও শোনা হয় খুব। রেডিও এর অনুষ্ঠান গুলো বেশ মজার। এইসব অনুষ্ঠানের অলোচনার বিষয়ের কোন অন্ত নেই। তবে এরা মাঝে মাঝে নানা কন্সার্টের টিকিট দেয়। আমি কিংস অব লিওয়নের ( Kings of Leons ) ভয়াবহ ফ্যান। আসছে অক্টোবারে ওরা আসবে ড্যালাসে। টিকিট সব শেষ। এখন অপেক্ষা কখন 106.1FM ওদের টিকিট দেবে। যদিও আমার লটারি ভাগ্য ভালো নয়। তবুও চেষ্টা করে দেখবো ভাবছি। যা হোক এই রেডিও শো গুলো সমসাময়িক গানগুলো শোনায়। তাই ভালোই লাগে। এর মাঝেই পেয়ে গেলাম বাংলা ইন্টারনেট রেডিও। রেডিও ঢাকা । আমি গান না শুনে কাজ করতে পারি না। নতুন বাংলা গানের খোঁজ খবর তেমন জানি না। রেডিও ঢাকার কল্যানে আজকাল অনেক বাংলা গান শোনা হচ্ছে। বেশ কিছু গান ভালো লাগলো। দেখি গান

যাত্রা-ভঙ্গ

হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই, দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷ হেমের মাঝে শুই না যবে, প্রেমের মাঝে শুই তুই কেমন করে যাবি? পা বাড়ালেই পায়ের ছায়া আমাকেই তুই পাবি৷ তবুও তুই বলিস যদি যাই, দেখবি তোর সমুখে পথ নাই৷ তখন আমি একটু ছোঁব, হাত বাড়িয়ে জাড়াবো তোর বিদায় দুটি পায়ে, তুই উঠবি আমার নায়ে, আমার বৈতরণী নায়ে৷ নায়ের মাঝে বসব বটে, না-এর মাঝে শোবো৷ হাত দিয়েতো ছোঁবো না মুখ, দু:খ দিয়ে ছোঁবো৷ তুই কেমন করে যাবি? -নির্মলেন্দু গুণ

ভালোবাসা... তোমাদের জন্য

১ ধূর! এই কামলাগিরি আর ভালো লাগে না। দিন শেষে বাড়ি ফিরতে ফিরতে তমাল নিজের মনেই কথাটা ভাবছিলো আর গালি দিচ্ছিলো নিজের ভাগ্যকে। কেন যে সুখে থাকতে ভুতে কিলায় মানুষকে!! কি কুক্ষনেই না ডিবি টা করেছিলো!!! আবু ভাইয়ের পরামর্শটা ভেবে দেখছে। ভালই মনে হচ্ছে। চার বছরের চুক্তি। থাকা খাওয়া, পড়াশোনা সব খরচ ওদের। উপরি হিসাবে আছে বেতন, বেনিফিটস্‌ । বাবা –মাকেও একটু সাহায্য করতে পারবে। বাসায় এখনও বলেনি। বাবা মনে হয় কিছুতেই রাজী হবে না। অবশ্য মাকে ম্যনেজ করতে পারলেই হল। বাকীটা ঠিক সামাল দিয়ে নেবে। প্রিয়াঙ্কাকেও বলা দরকার। কথাটা শুনে ও নিশ্চয়ই ভীষন রাগ করবে… হিঃহিঃহিঃ প্রিয়াঙ্কার রাগ রাগ মুখটা কল্পনা করে, তমাল নিজের মনেই ই হেসে উঠে। সে যে বসে আছে একা একা… সেল ফোনটা বেজে ওঠে। রিং শুনেই বুঝে ফোনটা কার। -কি কর? - তোমার কথা ভাবি। - ইসস্‌ চাপা মেরো না । পুরা দিন কোন খবর নাই। -আমি তো জানিই তুই ঘুম থেকে উঠেই আমাকে কল করবি। - তোর মন্ডু!! DGM -তোর সামনে আয়না আছে?? - হা আছে। কেন?? - দেখ তো তোর গালটা কতোখানি ফুলেছে??? - উফ্‌ !! তুমি কি কখনো একটু সিরিয়াস হতে পারো না?? - পারি তো। দেখতে চাও? একখানা সিরিয়াস সিদ্ধান্ত নিস