Skip to main content

Posts

Showing posts from March, 2009

সাড়ে তিন হাত মাটি

আমার বাড়াবাড়ি রকমের ভূতের ভয় আছে। তাই সবসময় চেষ্টা করতাম কিভাবে কবরস্থানটাকে এড়িয়ে বাইরে যাওয়া যায়। যেহেতু এটা আমার বাসার ঠিক পাশেই, তাই না চাইলেও চোখ চলে যায়। সময়ের সাথে সাথে দিনের বেলায় ভয়টা কমতে থাকে; আর তার জায়গা নেয় কৌতুহল। কাটাতারের বেড়ার ফাঁক দিয়েই পরিচয় হয় এপিটাফ গুলোর সাথে। যেমন ক্যারোল সাহেব আর প্রথম স্ত্রী জেনিফারকে বেশী ভালোবাসতেন। জেনিফারের এপিটাফের উপর একটা ভিষন সুন্দর সাদা পরীর মুর্তি গড়া। আর ঠিক পাশেই দ্বিতীয় স্ত্রী এ্যানির এপিটাফটা একদমই সাদামাটা। আবার স্মিথ পরিবার পশুপাখি খুব পছন্দ করত, তাদের এপিটাফের উপর বিভিন্ন পশুপাখির ছবি খোদাই করা।ছোট্ট বিলির ছিল গাড়ির শখ। তার এপিটাফের উপর প্রায়ই কেউ খেলনা গাড়ি রেখে যায়। এই কবরস্থালে আরো থাকে এক তিন পা ওয়ালা বেওয়ারিশ কুকুর। ভীষণ রোমোশ তবে আকারে তেমন বড় না। দেখতে বেশ নিরীহ। আগে খুবঅই ভয় পেতাম এটাকে। আজকাল ওকে দেখলেই কেমন মায়া লাগে। আহারে! বেচারা ভাল করে খেতে পায় না, যত্ন নেয়ার কেউ নেই। ক্লান্ত দিন শেষে বাড়ি ফেরার সময়, বহু বছর আগে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়া এই ভিনদেশী মানুষ গুলোকে আমার বড্ড আপন মনে হয়।

প্রিয় কবির দু'টি প্রিয় কবিতা

যা চেয়েছি, যা পাবো না - কী চাও আমার কাছে ? - কিছু তো চাইনি আমি ! - চাওনি তা ঠিক । তবু কেন এমন ঝড়ের মতো ডাক দাও ? - জানি না । ওদিকে দ্যাখো … রোদ্দুরে রুপোর মতো জল তোমার চোখের মতো দূরবর্তী নৌকো চর্তুদিকে তোমাকেই দেখা। - সত্যি করে বলো, কবি, কী চাও আমার কাছে ? - মনে হয় তুমি দেবী - আমি দেবী নই । - তুমি তো জানো না তুমি কে ! - কে আমি ! - তুমি সরস্বতী শব্দটির মূল অর্থে যদিও মানবী তাই কাছাকাছি পাওয়া মাঝে মাঝে নারী নামে ডাকি - হাসি পায় শুনে যখন যা মনে আসে তাই বলো, ঠিক নয় ? - অনেকটা ঠিক । যখন যা মনে আসে… কেন মনে আসে ? - কী চাও, বলো তো সত্যি ? কথা ঘুরিয়ো না - আশীর্বাদ ! - আশীর্বাদ ! আমার, না সত্যি যিনি দেবী - তুমিই তো সেই ! টেবিলের ঐ পাশে ফিকে লাল শাড়ি আঙ্গুলে ছোঁয়ানো থুতনি, উঠে এসো আশীর্বাদ দাও, মাথার ওপরে রাখো হাত আশীর্বাদে আশীর্বাদে আমাকে পাগল করে তোলো খামচে ধরো চুল, আমার কপাল নখ দিয়ে চিরে দাও - যথেষ্ট পাগল আছো ! আরও হতে চাও বুঝি ? - তোমাকে দেখলেই শুধু এরকম, নয়তো কেমন শান্তশিষ্ট - না দেখাই ভালো তবে ! তাই নয় ? - ভালো মন্দ জেনে শুনে যদি এ-জীবন কাটা

সময়টা চুরি করে ক্ষেপা মনে ফাকঁতালে রাতে জাগা দিনে ছোটা জীবনের ঘুড়ি ওড়ে...

ছোটবেলায় আমাদের অনুবাদ শেখানো হত সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না- Time and tide waits for none. কিন্তু আমারিকাতে এসে দেখলাম কিসের কি? এদেশে ৭ ধরনের সময় জোন আছে। দেশের এক প্রান্তে যখন সকাল আটটা , অন্য প্রান্তে বেলা বারোটা । একি দেশের বিভিন্নখানে বিভিন্ন সময়। দেশটা মাশাল্লাহ্‌ বিশাল, তাই একাধিক সময় জোন থাকা টা হয়তো প্রয়োজন। কিন্তু একই স্টেটে দুই রকম সময়ের কি মানে থাকতে পারে সেটা অনেক চিন্তা করেও বার করতে পারলাম না। এর উপর আরো ঝামেলা করতে এরা চালু করেছে “দিনের আলো সঞ্চয়” ( Daylight Saving Time) সময়। দিনের আলো ধরে রাখতে বসন্তে ঘড়ি এক ঘন্টা পিছিয়ে দেয়া হয়। অ্যারিজোনা ছাড়া অনয সর স্টেটে বছরে প্রায় আট মাসই চালু থাকে এই সময়। তাই এখন সকাল হয়ে যায় সূর্য ওঠার আগেই। দিনের আলো সঞ্চয় সময়ের পিছনের পুথিঁগত কারণটা হল দিনের আলো বেশী সময় থাকলে বাতি জ্বালাতে হবে কম; এতে করে এনার্জি সেইভ হবে। কিন্তু এদেশে সব অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ চলে কৃত্তিম আলোতে। শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে কার্যকরী করতে বেশীরভাগ জানালাতেই থাকে ভারী পর্দা। সেই পর্দা ভেদ করে যদি কিছু অলো ঢুকতেও পারে, তা কাজ করার পক্ষে যথেষ্ট নয়। শ