Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2010

প্রবাসে একুশ

প্রবাসে এবারই প্রথম একুশে ফেব্রুয়ারীর অনুষ্ঠানে গেলাম।মিলনায়তনের প্রবেশপথে ঝুলানো একুশের পোস্টার। বাংলাদেশের নানা বিখ্যাত স্থাপত্যের ছবি; পাশে ছোট্ট করে বর্ণনা। শিল্পমানের দিক থেকে তেমন কিছু না হলেও, বিদেশে নিজের দেশের সামান্য চিহ্নও বড্ড আপন লাগে। যেতে একটু দেরী হয়েছিলো, যখন হলে ঢুকলাম ততক্ষণে অনুষ্ঠানের প্রায় অর্ধেকটা শেষ। প্রথমেই নজর কাড়ে মঞ্চের উপর বানানো শহীদ মিনারের প্রতিকৃতি। লাল সূর্যটা বানানো হয়েছে কেবল আলো দিয়ে।অদ্ভুত ভালো লাগে আমার । বাচ্চারা গাইছে "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কী ভুলিতে পারি? " প্রবাসী শিশুদের মুখে আড়ষ্ঠ উচ্চারণের বাংলা গান শুনে আমার ভারী গর্ব হয়। বহুদিন পর একসাথে এত্ত বাংলা কথা শুনি; দেখি শাড়ি-পাঞ্জাবি পড়া লোকজন। কয়েকজন আবার নিজেই টি-শার্টে বর্ণমালা লিখে নিয়েছে। সবার মাঝেই একুশের চেতনা। এর পর শুরু হয় বড়দের গান। স্থানীয় গায়ক-গায়িকারা একে একে গেয়ে চলেন নানা দেশাত্ম্রোধক গান। বাংলাদেশ থেকে শত হাজার মাইল দূরে বসে দেশের গান শুনতে শুনতে কী যে এক অনুভুতি আমায় পেয়ে বসে। আমিও গানের সাথে তাল মিলাই। এরপর মঞ্চে উঠে আসেন এক গায়ক, পরণে ত

খাপছাড়া -১

মানুষেরই মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সূর আসূর যতই ইতিহাস পড়ছি, মানুষের বর্বরতায় বিমূঢ় হয়ে যাচ্ছি। শুধু মাত্র বিশ্বাসের পার্থক্যের কারণে একে অন্যকে হত্যা করছে। খুব অবাক হয়ে দেখি - মানুষই একমাত্র প্রাণী যে তার নিজের স্পিসিসকে হত্যা করে। একটা বাঘ তো আরেকটা বাঘকে মেরে ফেলে না।পোল্যান্ডের এক গ্রামে হলোকাস্টের নৃশংসতার কাহিনী শুনে আমি ক্লাসেই কেদেঁ ফেলেছি। সেই একই  কাহিনীরি পুনঃরাবৃত্তি হচ্ছে ডারফোর বা আফগানিস্তানে। কোথায় যেন তালেবান ট্রেনিং এর বর্ণনা পড়েছিলাম - তালেবানেরা ৬-৭ বছরের বাচ্চা ছেলেদের ,বাবা -মার কাছ থেকে আলাদা করে ফেলে। প্রথম দু'দিন খুব যত্ন করে। পরের দু'দিন কোন খাবার দেয় না । তারপর তাদেরকে একটা মুরগীর খামারে নিয়ে, বলা হয় যে সবচেয়ে বেশি মুরগী হত্যা করতে পারবে তাকে খাবার দেয়া হবে। ক্ষুধার তাড়নায় বাচ্চাগুলো মুরগী হত্যা করতে থাকে। এভাবে তাদের সংবেদনশীলতা শিশুকাল থেকেই নষ্ট করে দেয়া হয়,  একসময় তাদের কাছে হত্যা স্বাভাবিক মনে হয়। ঠিক এভাবে না হলেও ,  পত্রিকা, রেডিও, টেলিভিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিশুদের সুকুমারবৃত্তি গুলো ধবংস করে ফেলা হচ্ছে। মানুষ হয়ে পড়ছে, ভীষণ অসহিষ্ণু। ব