Skip to main content

এলোমেলো দিনলিপি


গানে গানে


আমি গানের ব্যাপারে একটু বাতিকগ্রস্ত। যদি কোন গান ভালো লেগে যায় তবে সেটা কয়েক লক্ষবার শুনি। এক সময় গানটা মন্ত্রের মত লাগতে থাকে। তখন আর গানটা শুনতে পারি না। তখন গানটা শুনতে শারিরীক কষ্ট হয়। আজকাল ভালো লাগার মত গানও কমে গেছে। যা ভালো লেগেছিলো তা বহুবার শোনা হয়ে গেছে। নতুন কিছু তেমন ভালো লাগেনি। আইপড আপডেট করা হয় না তাই বহুদিন। শোনাও হয় কেবল দৌড়ানোর সময়।

আজকাল তাই রেডিও শোনা হয় খুব। রেডিও এর অনুষ্ঠান গুলো বেশ মজার। এইসব অনুষ্ঠানের অলোচনার বিষয়ের কোন অন্ত নেই। তবে এরা মাঝে মাঝে নানা কন্সার্টের টিকিট দেয়। আমি কিংস অব লিওয়নের (Kings of Leons) ভয়াবহ ফ্যান। আসছে অক্টোবারে ওরা আসবে ড্যালাসে। টিকিট সব শেষ। এখন অপেক্ষা কখন 106.1FM ওদের টিকিট দেবে। যদিও আমার লটারি ভাগ্য ভালো নয়। তবুও চেষ্টা করে দেখবো ভাবছি। যা হোক এই রেডিও শো গুলো সমসাময়িক গানগুলো শোনায়। তাই ভালোই লাগে।

এর মাঝেই পেয়ে গেলাম বাংলা ইন্টারনেট রেডিও। রেডিও ঢাকা। আমি গান না শুনে কাজ করতে পারি না। নতুন বাংলা গানের খোঁজ খবর তেমন জানি না। রেডিও ঢাকার কল্যানে আজকাল অনেক বাংলা গান শোনা হচ্ছে। বেশ কিছু গান ভালো লাগলো। দেখি গান গুলো নামাতে হবে।

রেডিও ঢাকার বিজ্ঞাপনগুলো বেশ মজার। বিশেষ করে ড্যানিশ কন্ডেন্সড মিল্কের বিজ্ঞাপনের গানটা পুরাই সেইরকম। চটুল বাংলা বা হিন্দী গানের সুরের সাথে করা বিজ্ঞাপনের কথা গুলো হল-
ফুল বাগানে, ফুলের মধু ছড়াইয়া
কেমনে তোমায় ছাড়ি তুমি পরাণ পাখি,
ইচ্ছে করে ড্যানিশ দুধ দিয়ে তোমায় বেধেঁ রাখি।
নারিকেলের মিষ্টি স্বাদে তোমায় আমি ছাড়বো না,
ছেড়ো না গো , ছেড়ো না কুকি আমায় ছেড়ো না ।


লাইসেন্স টু কিল, লাভ আজকাল ও মেট্রিক্স রিলোডেড


লেরার ডের ছুটিতে এবার কোন পরিকল্পনা নেই। করার মত অনেক কিছুই আছে। কিন্তু কাজের কথা মনে হলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে আজকাল। তাই ঠিক করলাম সিনেমা দেখব। টিভিতে জেমস বন্ড ম্যারাথন দেখলাম। বিভিন্ন সময়ের ৪টা বন্ড মুভ্যি দেখলাম। এর মধ্যে বেশী পুরোনো গুলো আগে দেখা ছিলো না। তবে মাসুদ রানার কারণে কাহিনীগুলো খুব পরিচিত লাগছিলো। ক্যাসিনো রয়্যাল আবার দেখলাম। ড্যানিয়াল ক্রেগ বেশি জোশ।

বহুদিন পর একটা হিন্দী মুভ্যি দেখলাম "লাভ আজকাল"। গত বাধাঁ হিন্দী প্রেমের ছবি। তবে সময় কাটানোর জন্য ভালোই। গান গুলো বেশ সুন্দর। খুবই বিশ্বায়িত কাহিনী। গল্প শুরু হয় লন্ডনে। সেখান থেকে দিল্লী ; মাঝে আবার সান ফ্রান্সিস্কোতে কিছুক্ষণ।

অনেকদিন পর দেখলাম মেট্রিক্স রিলোডেড। প্রথমবার যখন দেখেছিলাম তখন কিয়ানু রিভ্‌স আর দুদার্ন্ত সব এ্যাকশান দেখে ভালো লেগেছিলো। কাহিনীর বুঝিনি প্রায় কিছুই। এবার কাহিনী বুঝলেও এ্যকশান গুলো একটু পানসে লাগলো।

রোযা - সেহেরী - ইফতার


এবার রোযা রাখা হয়নি তেমন। দিন গুলো প্রচন্ড বড়। রোযা শুধু ডিসেম্বর মাসে হয়া উচিত। ক'দিন ধরে আমার খুব স্ট্রবেরী চীজ প্যানকেক খেতে ইচ্ছা করছে। সেহেরীতে সিরিয়াল খেতে বিষের মত লাগে।তাই ঠিক করলাম সেহেরী করবো আইহপসে (IHop)। ভোর ৪.00 টায় যে এত ভিড় থাকতে পারে আমাদের ধারণাতেই ছিল না। সারাদিন খেতে পাবো না ভেবে বেশী খাওয়া হয়ে গেছে। খেয়ে আর জেগে থাকতে পারিনা। এদিকে নামাযের তখনো কিছুটা দেরী। কনোমতে নামায পড়েই ধপাশ্‌। সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি গলা শুকিয়ে কাঠ। সেহেরীতে ৩-৪ কাপ কফি খাওয়ায়, পানি খাওয়া হয়নি একেবারেই।

ইফাতারিতে বাসায় থাকলে প্রায়ই মসজিদে যাই। বিনামূল্যে মজাদার ইফতারি। এই গুরুভোজনের জন্য রোযার মাসেও মোটা হয়ে যাচ্ছি। :-(

Comments

Popular posts from this blog

টোনা টুনির গল্প

এক দেশে ছিলো এক টোনা আর এক টুনি। এক ছুটিরদিন সকালে টোনা, টুনিকে ডাকিয়া কহিল -“টুনি ভাপা পিঠা খাওয়ার শখ হইতেছে।” শুনিয়া টুনি ফ্রিজ খুলিয়া দেখিল, কেবল শুকনো রুটি আর পনির পড়িয়া আছে। টুনি বলিল – -“ফ্রীজে কিছুই নাই। বাজার হইতে ভাপা পিঠা রাধিঁবার সরঞ্জাম লইয়া আস। - টোনা শুধায় “কি কি লাগিবে ফর্দ দাও।” টুনি পড়িল মহা চিন্তায়, ভাপা পিঠা কি উপায়ে রাধেঁ , কি কি লাগে সবই তো তার অজানা। ভাবিতে ভাবিতে ঘরের কোণায় যত্ন করিয়া রাখা দেশ বিদেশের পিঠা বইখানি টানিয়া লইলো। তাহা হইতে যাহা যাহা দরকার সব লিস্ট করিয়া টোনাকে দিয়া বলিল – “তাড়াতাড়ি এইসব লইয়া আস।” বিরস মুখে বাজারের থলি হাতে টোনা বাহির হইল। টুনি ভাবে, মায়ের কাছ থেকে ভাল উপায়ে ভাপা পিঠা রন্ধন প্রনালী শিখিয়া নেয়া দরকার। মাকে ফোন করিয়া ঘটনা জানাইতেই তিনি টোনার উপর যারপর নাই চটিয়া গিয়া কহিলেন- -“টোনা তাহার কন্যা কে পাহিয়াছে কি? ছুটির দিনেও রান্নাঘর থেকে ছুটি দিতেছে না।” অবস্থা বেশি সুবিধার না আঁচ করিয়া টুনি ফোন রাখিয়া দিয়া ভাবিল শ্বাশুড়িমাতার কাছ থেকেই না হয় শিখিয়া লওয়া যাক। ঘটনা শুনিয়া শ্বাশুড়িমাতা “টোনার দুর্ভাগ্যের জন্য যারপর নাই দুঃখ প্রকাশ করি

হাড়ে হাড়ে চিনি তোমায়...

হাড়ে হাড়ে চিনি তোমায় কচু ভালোবাসো আমায়' আমার লগে কর অভিনয়... জানি তুমি, চক্ষু দু’টা বাইন্ধ্যা রাখস্‌ সামনের বাড়ির জানালায়।। ফাজিল মাইয্যার নাম কি জানি, শিবানী না কি সর্বানী, মাইয্যার চোখে মুখে জ্বলে রাশি রাশি শয়তানি। রাশি রাশি শয়তানি রে… ইশারাতে চলতাছে চলুক, লোকে বলতাসে বলুক। আমার সংসারে যদি আগুন জ্বলে তবে, রিপোর্ট করব চাচার থানায়, প্রেম কর বইয়া জেলখানায়। মনে রাইখো এই কথাটি, প্রেম কইরা করস বিয়া, তোমের ঘরে আইলাম আমি, সব কিছু ছাইরা দিয়া, সব কিছু ছাইরা দিয়া হায়!! সেই মনুমেন্টের নিচে বইয়া, ফুচুফুচু কথা শুনাইয়া, আও গ্রাম ঘাটের ধারে, প্রথম প্রেমের কবিতা পইড়া, আমারে পাগোল বানাইলেও, পরাণ হয় পাগোল, উঁকিঝুকি মাইরো না আর, ছিঃহ্‌!! এ সকল কি তোমার মানায়??

ভাবনাগুলো এলোমেলো

সবকিছু বড্ড বেশী ধোঁয়াশা লাগে আজকাল।  পৃথিবী নতুন লাগছে। নাকি আমিই হয়তো বদলে গিয়েছি। কিংবা আমি না সময়টাই বদলে গিয়েছে। গতকাল একটা ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে খেয়াল করলাম বয়সের ঘরটা্র  পরিবর্তন হয়েছে।  বদলে গিয়েছে আরো অনেক কিছুই। সবাই সেমেষ্টার  ফাইনাল পরীক্ষার জন্য পড়ছে। আমার স্কুল নেই, বই নেই, পরীক্ষা নেই। কখনো ভাবিনি পরীক্ষা নেই বলে অফসোস করবো !!! হয়তো আমিই বদলে গিয়েছি অনেক বেশি। জীবনে এসে পড়েছে অনেক দায়িত্ব। অচেনা কিছু মানুষ নতুন সম্পর্কের টানে আপন হয়ে উঠেছে; আবার আপন কিছু মানুষ অদ্ভূত নির্লিপ্ততায় দূরে সরে গেছে।  স্বতঃস্ফূর্ত জীবনের মাঝে ঢুকে গিয়েছে  হিসাব নিকেশ, অনেক প্রত্যাশা আর  হতাশা। আর ঠিক এক সপ্তাহ পরে চলে যাচ্ছি নতুন একটা শহরে।  অনিশ্চিত জীবনে।  আবার কখনো হয়তো ফিরে আসবো এই চেনা শহরে, কিন্তু তখন কী আজকের চেনা মানুষ গুলো এমনই থাকবে?? সব পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করতে গিয়ে যেন তলিয়ে যাচ্ছি।