Skip to main content

Posts

Showing posts from December, 2010

কলাইডোস্কোপে ২০১০

সেই ইমেইলটা লেখার দিন ঘনিয়ে আসছে। গত প্রায় দু'বছর ধরে অপেক্ষা করেছি কেবল এই ইমেইলটা লেখার। মনে মনে কত খসড়া এঁকেছি। বড় আজব মানুষের মন। আজ লিখতে বসে ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। মনের মাঝে ভিড় করছে গত তিন বছর ৯ মাসের অজস্র স্মৃতি। হারিয়ে যাওয়া সহকর্মীর মুখ। আমার ছোটু ৮' x ১২' কিউব হয়তো কাল থেকে আর কেউ অগোছলো করবে কিংবা করবে না। আমার লাল- কালো ব্যাজটা রিসাইকেলড হয়ে যাবে। এ্যকসেস কার্ড দিয়ে আর কোন দরজা খুলবে না। কোন সহকর্মীর বিদায় দিনে আমরা সবাই মিলে কোথাও খেতে যেতাম। কিন্তু আমাকে বিদায় দেয়ার কেউ নেই। আমিই শেষজন। খুব অদ্ভুত লাগছে। জীবন খুব দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। ক'দিন আগেই ছাত্রজীবনের ইতি টেনে দিলাম। আর কোন কোথাও পেশা  ছাত্র লিখতে পারবো না। আমার ডেমোগ্রাফিক বদলে গেল।  সময়টাই অদ্ভুত। মাঝে মাঝে নতুন ডেমোগ্রাফিটাকে  দারূণ রোমাঞ্চকর মনে হয় - আবার ভয় ও লাগে। জীবনে ছাত্রত্ব ছাড়া তো আর কিছুই তেমন করিনি। এই লেবেলটা সেই ৪ বছর বয়স থেকে বয়ে বেড়াচ্ছি -  এটাই আমার পরিচয় হয়ে গিয়েছে। এই ভয় থেকেই একবার ছাত্রজীবনটা টেনে দীর্ঘ করার চিন্তা মাথায় এসেছিলো। কিন্তু জি.আর.ই এর মত

মনে মনে বহুদূর চলে গেছি

মনে মনে বহুদূর চলে গেছি-  যেখান থেকে ফিরতে হলে আরো একবার জন্মাতে হয় জন্মেই হাঁটতে হয়। হাঁটতে-হাঁটতে হাঁটতে-হাঁটতে একসময় যেখান থেকে শুরু করেছিলাম সেখানে পৌঁছুতে পারি। পথ তো একটা নয় –- তবু, সবগুলোই ঘুরে ফিরে ঘুরে ফিরে শুরু আর শেষের কাছে বাঁধা। নদীর দু – প্রান্তের মূল একপ্রান্তে জনপদ অন্যপ্রান্ত জনশূণ্য। দুদিকেই কূল, দুদিকেই এপার-ওপার, আসা-যাওয়া, টানাপোড়ন – দুটো জন্মই লাগে। মনে মনে দুটো জন্মই লাগে । - শক্তি চট্টোপাধ্যায়