Skip to main content

পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে

আমার অনেক গুলো বদ স্বভাবের একটা হল , সময়ের কাজ অসময়ে করা। এই যেমন এখন অফিসে বসে লিখছি। হাতে অনেক কাজ , একটু গুছিয়ে রাখলেই ডেডলাইনের আগে হিমশিম খেতে হত না। কিন্তু কাজ করতে একেবারেই ইচ্ছা করছে না।



প্রচন্ড গরম পড়েছে কদিন ধরে। রোজই তাপমাত্রা ১০০ এর উপরে। গতকাল অল্প বৃষ্টি হয়াতে গরম আরো বেরে গেছে। গরমের সময় যেটা করতে আমার সবচেয়ে ভাল লাগে সেটা হল আইস্ক্রীম খাওয়া আর পানিতে দাপাদাপি করা। এই গ্রীষ্মে এখনো পানিতে নামা হয়নি। এইবার সাঁতারটা অবশ্যি শিখতে হবে।
গরমের কারনেই হয়তো, অনেক্ষাণ ফ্লিকারে বরফের ছবি দেখলাম। আল্পেশিয়ান পর্বতের চুড়ায় সাদা তুষারের উপর রোদ পরে ঝিকমিক করছে। অপুর্ব !!! আমার কখনো স্কী করা হয়নি। চাকরি পেয়ে আমার প্রথম ছুটিতে যাব স্কী করতে। নিউ মেক্সিকো অথবা সিটকা। পাহাড়ের নীচে কাঠের কেবিনের জানালা দিয়ে তুষার দেখব, ফায়ারপ্লেসের পাশে বসে। হাতে থাকবে গরম মোকা এবং প্রিয় কোন বই আর ঘরে বাজবে সিনাত্রার...

Come fly with me, lets fly lets fly away
If you can use, some exotic booze
Theres a bar in far bombay
Come fly with me, well fly well fly away

Come fly with me, lets float down to peru
In lama land, theres a one man band
And hell toot his flute for you
Come fly with me, well float down in the blue

Once I get you up there, where the air is rarefied
Well just glide, starry eyed
Once I get you up there, Ill be holding you so near
You may here, angels cheer - because were together

Weather wise its such a lovely day
You just say the words, and well beat the birds
Down to acapulco bay
Its perfect, for a flying honeymoon - they say
Come fly with me, well fly well fly away

Come fly with me...


গানটা মনে হয় পরিবেশের সাথে একটু খাপছাড়া শোনাবে... থাক জীবন তো এমনই... :-)

আহা !! ভাবতেই হিম হিম লাগছে।

Comments

Popular posts from this blog

টোনা টুনির গল্প

এক দেশে ছিলো এক টোনা আর এক টুনি। এক ছুটিরদিন সকালে টোনা, টুনিকে ডাকিয়া কহিল -“টুনি ভাপা পিঠা খাওয়ার শখ হইতেছে।” শুনিয়া টুনি ফ্রিজ খুলিয়া দেখিল, কেবল শুকনো রুটি আর পনির পড়িয়া আছে। টুনি বলিল – -“ফ্রীজে কিছুই নাই। বাজার হইতে ভাপা পিঠা রাধিঁবার সরঞ্জাম লইয়া আস। - টোনা শুধায় “কি কি লাগিবে ফর্দ দাও।” টুনি পড়িল মহা চিন্তায়, ভাপা পিঠা কি উপায়ে রাধেঁ , কি কি লাগে সবই তো তার অজানা। ভাবিতে ভাবিতে ঘরের কোণায় যত্ন করিয়া রাখা দেশ বিদেশের পিঠা বইখানি টানিয়া লইলো। তাহা হইতে যাহা যাহা দরকার সব লিস্ট করিয়া টোনাকে দিয়া বলিল – “তাড়াতাড়ি এইসব লইয়া আস।” বিরস মুখে বাজারের থলি হাতে টোনা বাহির হইল। টুনি ভাবে, মায়ের কাছ থেকে ভাল উপায়ে ভাপা পিঠা রন্ধন প্রনালী শিখিয়া নেয়া দরকার। মাকে ফোন করিয়া ঘটনা জানাইতেই তিনি টোনার উপর যারপর নাই চটিয়া গিয়া কহিলেন- -“টোনা তাহার কন্যা কে পাহিয়াছে কি? ছুটির দিনেও রান্নাঘর থেকে ছুটি দিতেছে না।” অবস্থা বেশি সুবিধার না আঁচ করিয়া টুনি ফোন রাখিয়া দিয়া ভাবিল শ্বাশুড়িমাতার কাছ থেকেই না হয় শিখিয়া লওয়া যাক। ঘটনা শুনিয়া শ্বাশুড়িমাতা “টোনার দুর্ভাগ্যের জন্য যারপর নাই দুঃখ প্রকাশ করি

হাড়ে হাড়ে চিনি তোমায়...

হাড়ে হাড়ে চিনি তোমায় কচু ভালোবাসো আমায়' আমার লগে কর অভিনয়... জানি তুমি, চক্ষু দু’টা বাইন্ধ্যা রাখস্‌ সামনের বাড়ির জানালায়।। ফাজিল মাইয্যার নাম কি জানি, শিবানী না কি সর্বানী, মাইয্যার চোখে মুখে জ্বলে রাশি রাশি শয়তানি। রাশি রাশি শয়তানি রে… ইশারাতে চলতাছে চলুক, লোকে বলতাসে বলুক। আমার সংসারে যদি আগুন জ্বলে তবে, রিপোর্ট করব চাচার থানায়, প্রেম কর বইয়া জেলখানায়। মনে রাইখো এই কথাটি, প্রেম কইরা করস বিয়া, তোমের ঘরে আইলাম আমি, সব কিছু ছাইরা দিয়া, সব কিছু ছাইরা দিয়া হায়!! সেই মনুমেন্টের নিচে বইয়া, ফুচুফুচু কথা শুনাইয়া, আও গ্রাম ঘাটের ধারে, প্রথম প্রেমের কবিতা পইড়া, আমারে পাগোল বানাইলেও, পরাণ হয় পাগোল, উঁকিঝুকি মাইরো না আর, ছিঃহ্‌!! এ সকল কি তোমার মানায়??

ভাবনাগুলো এলোমেলো

সবকিছু বড্ড বেশী ধোঁয়াশা লাগে আজকাল।  পৃথিবী নতুন লাগছে। নাকি আমিই হয়তো বদলে গিয়েছি। কিংবা আমি না সময়টাই বদলে গিয়েছে। গতকাল একটা ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে খেয়াল করলাম বয়সের ঘরটা্র  পরিবর্তন হয়েছে।  বদলে গিয়েছে আরো অনেক কিছুই। সবাই সেমেষ্টার  ফাইনাল পরীক্ষার জন্য পড়ছে। আমার স্কুল নেই, বই নেই, পরীক্ষা নেই। কখনো ভাবিনি পরীক্ষা নেই বলে অফসোস করবো !!! হয়তো আমিই বদলে গিয়েছি অনেক বেশি। জীবনে এসে পড়েছে অনেক দায়িত্ব। অচেনা কিছু মানুষ নতুন সম্পর্কের টানে আপন হয়ে উঠেছে; আবার আপন কিছু মানুষ অদ্ভূত নির্লিপ্ততায় দূরে সরে গেছে।  স্বতঃস্ফূর্ত জীবনের মাঝে ঢুকে গিয়েছে  হিসাব নিকেশ, অনেক প্রত্যাশা আর  হতাশা। আর ঠিক এক সপ্তাহ পরে চলে যাচ্ছি নতুন একটা শহরে।  অনিশ্চিত জীবনে।  আবার কখনো হয়তো ফিরে আসবো এই চেনা শহরে, কিন্তু তখন কী আজকের চেনা মানুষ গুলো এমনই থাকবে?? সব পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করতে গিয়ে যেন তলিয়ে যাচ্ছি।