Skip to main content

নানা রঙের দিনগুলি ৩


গতকাল প্রচন্ড গরম ছিল। ৮৯ ডিগ্রী । ফাল্গুনের হাল এমন হলে সামার যে কেমন হবে?? এর মাঝে বাসার ac. কাজ করছে না। পুরা রাত গরমে সিদ্ধ হলাম। সকালের দিকে চারিদিক ঠান্ডা হয়ে এলে একটু ঘুমালাম। maintenance কে call করে acটা ঠিক করতে বলা দরকার। ইচ্ছা করছে না। পিয়াকে text করে দিলেও হয়। ইচ্ছা করছে না। থাক! আগামী কদিন নাকি ঠান্ডা থাকবে।

সকালে অফিসে এসে দেখি প্রাশানা home office করছে। আমার গ্রুপের ৭ জনের মাঝে অফিসে আছি ৩ জন। job queue তে বেশ কিছু কাজ জমে আছে। পরের সপ্তাহ থেকে টেস্টিং শুরু। করতে ইচ্ছা করছে না। server error দিচছে। ব্যাপারটা এখনই চেক করা দরকার। পাসোয়ার্ড মনে পড়ছে না। হেল্পডেস্ককে জানানো দরকার। ইচ্ছা করছে না।
জেসি আর টমাসো খুব আড্ডা দিচ্ছে। ওদের সাথে যোগ দেয়া যায়। উম্‌ম... ইচ্ছা করছে না।

স্কলারশিপের টাকা স্কুল একাউন্টে জমে হয়ে আছে। এটারও পাসওয়ার্ড ভুলে গেছি। রিসেট করতে হবে। ইচ্ছা করছে না।
আগামী সপ্তাহে ৪ টা পরীক্ষা । লেকচার নোট গুলো দেখা দরকার। ইচ্ছা করছে না।
পড়ব বলে, ৬০০ পৃষ্ঠার একটা জার্নাল প্রিন্ট করলাম। এটা থেকে অনেক কিছুই কুইজে আসবে।পড়তে ইচ্ছা করছে না।
প্রপোজালটা নেক্সট উইকের মধ্যে শেষ করতে হবে। ইচ্ছা করছে না।
ইনবক্সে ১৫-২০ টা হাই প্রায়োরিটি ইমেইল জমে আছে। উত্তর দিতে ইচ্ছা করছে না।
ইন্টারন্যাশানাল উইকের জন্য কাজ শুরু করা দরকার, পোলাপাইনকে এখনই অরগানাইজ না করলে বড্ড দেরী হয়ে যাবে। কাউকে delegate করলেও হয়। ইচ্ছা করছে না।
অনেক্ষণ ধরেই থেকে থেকে একঘেয়ে সুরে ফোনটা বেজে চলেছে। ধরতে ইচ্ছা করছে না। যাহ্‌ দিলাম সাইলেন্ট করে। :-)

একটু আগে বাইরে দেখলাম অল্প অল্প বৃষ্টি হচ্ছে। কাঠবিড়ালীটা ন্যাড়া গাছের নিচেই আশ্রয় খুঁজছে। হিঃ হিঃ । ওকে দিব নাকি ছুড়ে কয়েকটা বাদাম । ধুর! ইচ্ছা করছে না।
কফিটা ঠান্ডা হয়ে গেছে। নীচ থেকে আরেক কাপ নিয়ে আসতে ইচ্ছা করছে না।

Comments

Popular posts from this blog

টোনা টুনির গল্প

এক দেশে ছিলো এক টোনা আর এক টুনি। এক ছুটিরদিন সকালে টোনা, টুনিকে ডাকিয়া কহিল -“টুনি ভাপা পিঠা খাওয়ার শখ হইতেছে।” শুনিয়া টুনি ফ্রিজ খুলিয়া দেখিল, কেবল শুকনো রুটি আর পনির পড়িয়া আছে। টুনি বলিল – -“ফ্রীজে কিছুই নাই। বাজার হইতে ভাপা পিঠা রাধিঁবার সরঞ্জাম লইয়া আস। - টোনা শুধায় “কি কি লাগিবে ফর্দ দাও।” টুনি পড়িল মহা চিন্তায়, ভাপা পিঠা কি উপায়ে রাধেঁ , কি কি লাগে সবই তো তার অজানা। ভাবিতে ভাবিতে ঘরের কোণায় যত্ন করিয়া রাখা দেশ বিদেশের পিঠা বইখানি টানিয়া লইলো। তাহা হইতে যাহা যাহা দরকার সব লিস্ট করিয়া টোনাকে দিয়া বলিল – “তাড়াতাড়ি এইসব লইয়া আস।” বিরস মুখে বাজারের থলি হাতে টোনা বাহির হইল। টুনি ভাবে, মায়ের কাছ থেকে ভাল উপায়ে ভাপা পিঠা রন্ধন প্রনালী শিখিয়া নেয়া দরকার। মাকে ফোন করিয়া ঘটনা জানাইতেই তিনি টোনার উপর যারপর নাই চটিয়া গিয়া কহিলেন- -“টোনা তাহার কন্যা কে পাহিয়াছে কি? ছুটির দিনেও রান্নাঘর থেকে ছুটি দিতেছে না।” অবস্থা বেশি সুবিধার না আঁচ করিয়া টুনি ফোন রাখিয়া দিয়া ভাবিল শ্বাশুড়িমাতার কাছ থেকেই না হয় শিখিয়া লওয়া যাক। ঘটনা শুনিয়া শ্বাশুড়িমাতা “টোনার দুর্ভাগ্যের জন্য যারপর নাই দুঃখ প্রকাশ করি

হাড়ে হাড়ে চিনি তোমায়...

হাড়ে হাড়ে চিনি তোমায় কচু ভালোবাসো আমায়' আমার লগে কর অভিনয়... জানি তুমি, চক্ষু দু’টা বাইন্ধ্যা রাখস্‌ সামনের বাড়ির জানালায়।। ফাজিল মাইয্যার নাম কি জানি, শিবানী না কি সর্বানী, মাইয্যার চোখে মুখে জ্বলে রাশি রাশি শয়তানি। রাশি রাশি শয়তানি রে… ইশারাতে চলতাছে চলুক, লোকে বলতাসে বলুক। আমার সংসারে যদি আগুন জ্বলে তবে, রিপোর্ট করব চাচার থানায়, প্রেম কর বইয়া জেলখানায়। মনে রাইখো এই কথাটি, প্রেম কইরা করস বিয়া, তোমের ঘরে আইলাম আমি, সব কিছু ছাইরা দিয়া, সব কিছু ছাইরা দিয়া হায়!! সেই মনুমেন্টের নিচে বইয়া, ফুচুফুচু কথা শুনাইয়া, আও গ্রাম ঘাটের ধারে, প্রথম প্রেমের কবিতা পইড়া, আমারে পাগোল বানাইলেও, পরাণ হয় পাগোল, উঁকিঝুকি মাইরো না আর, ছিঃহ্‌!! এ সকল কি তোমার মানায়??

ভাবনাগুলো এলোমেলো

সবকিছু বড্ড বেশী ধোঁয়াশা লাগে আজকাল।  পৃথিবী নতুন লাগছে। নাকি আমিই হয়তো বদলে গিয়েছি। কিংবা আমি না সময়টাই বদলে গিয়েছে। গতকাল একটা ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে খেয়াল করলাম বয়সের ঘরটা্র  পরিবর্তন হয়েছে।  বদলে গিয়েছে আরো অনেক কিছুই। সবাই সেমেষ্টার  ফাইনাল পরীক্ষার জন্য পড়ছে। আমার স্কুল নেই, বই নেই, পরীক্ষা নেই। কখনো ভাবিনি পরীক্ষা নেই বলে অফসোস করবো !!! হয়তো আমিই বদলে গিয়েছি অনেক বেশি। জীবনে এসে পড়েছে অনেক দায়িত্ব। অচেনা কিছু মানুষ নতুন সম্পর্কের টানে আপন হয়ে উঠেছে; আবার আপন কিছু মানুষ অদ্ভূত নির্লিপ্ততায় দূরে সরে গেছে।  স্বতঃস্ফূর্ত জীবনের মাঝে ঢুকে গিয়েছে  হিসাব নিকেশ, অনেক প্রত্যাশা আর  হতাশা। আর ঠিক এক সপ্তাহ পরে চলে যাচ্ছি নতুন একটা শহরে।  অনিশ্চিত জীবনে।  আবার কখনো হয়তো ফিরে আসবো এই চেনা শহরে, কিন্তু তখন কী আজকের চেনা মানুষ গুলো এমনই থাকবে?? সব পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করতে গিয়ে যেন তলিয়ে যাচ্ছি।