Skip to main content

আমার যত সংস্কার অথবা কুসংস্কার




বছরের প্রথমে আমি খুব উত্সাহ নিয়ে রাশিফল দেখি। নতুন বছরটা কেমন যাবে, বিদেশ গমন, নতুন চাকুরি অথবা বিবাহ ভাগ্য কেমন জানতে বেশ মজা লাগে। যদিও কখনই সত্য হয়না। তাতে আমের আগ্রহের কোন কমতি হয় না।
আমার রাশি কুম্ভ। আশ্চর্যজনক ভাবে ভবিষ্যত না মিললেও, গুনপনা গুলো আমার সাথে ভালই মেলে। কেবল ভাল গুলোই না খারাপ গুলোও মিলে। শুধু তাই না ভালো –মন্দ লাগাও বেশ মিলে। যেমন কুম্ভ রাশির মানুষরা সৎ আর স্বাধীন হয়ে থাকে। আমিও নিজেও তাই। আবার তারা খুবই অনাকর্ষনীয় আর আনপ্রেডিক্টেবল হয়ে থাকে। আমি প্রায়ি এমন সব কাজ করি যে নিজেই ভীষন অবাক হয়ে যাই।

যা হোক লিখতে চেয়েছিলাম নিজের অহেতুক সংস্কার নিয়ে। আমি খুবই অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম যে আমি বেশ ভালই কুসংস্কার আচ্ছন্ন। কোনটাই তেমন ভয়াবহ না, তবুও বিজ্ঞান পড়া কারো তুলনায় মনে হয় একটু বেশীই।

বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বাধাঁ পেলে, একটুখানি বসে তারপর বের হওয়া। এর একটা আধা বৈজ্ঞানিক ব্যাখা বার করেছি – বাধাঁটা পাওয়া হয় সাধারনত দরকারী কিছু নিতে ভুলে যাওয়া। যেটা অন্যমনষ্কতার কারনে, তখন তো একটু ধাতস্থ হয়ে বার হয়াওয়াই ভাল।

একলা পাখি (শালিক) দেখলে দিন খারাপ যায়। যদিও বহুবার এর ব্যতিক্রম হয়েছে; তবুও কেন যেন- একলা পাখি দেখলেই অকারন মন খারাপ লাগে।

পরীক্ষার আগে ডিম খেলে, পরীক্ষায় খারাপ হয়। এরও একটা আধা বৈজ্ঞানিক ব্যাখা বার করেছি – ডিম হল প্রোটিন, যা গুরুভোজন পর্যায় পরে, এতে মাথায় অক্সিজেনের সরবারহ কমে যায়।

কোন পোষাক পরে দেয়া পরীক্ষা খারাপ হলে বা দিন খারাপ গেলে- সেটা আর না পরা। নিতান্তই কুসংস্কার। কোনই কারন নাই।

Comments

  1. tomar lekha porte khoob moja lagche ... add the "Followers" gidget so that I can follow your blog :)

    ReplyDelete
  2. Thanks Sumaiya Apu...

    Add kore dilum :-)

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

টোনা টুনির গল্প

এক দেশে ছিলো এক টোনা আর এক টুনি। এক ছুটিরদিন সকালে টোনা, টুনিকে ডাকিয়া কহিল -“টুনি ভাপা পিঠা খাওয়ার শখ হইতেছে।” শুনিয়া টুনি ফ্রিজ খুলিয়া দেখিল, কেবল শুকনো রুটি আর পনির পড়িয়া আছে। টুনি বলিল – -“ফ্রীজে কিছুই নাই। বাজার হইতে ভাপা পিঠা রাধিঁবার সরঞ্জাম লইয়া আস। - টোনা শুধায় “কি কি লাগিবে ফর্দ দাও।” টুনি পড়িল মহা চিন্তায়, ভাপা পিঠা কি উপায়ে রাধেঁ , কি কি লাগে সবই তো তার অজানা। ভাবিতে ভাবিতে ঘরের কোণায় যত্ন করিয়া রাখা দেশ বিদেশের পিঠা বইখানি টানিয়া লইলো। তাহা হইতে যাহা যাহা দরকার সব লিস্ট করিয়া টোনাকে দিয়া বলিল – “তাড়াতাড়ি এইসব লইয়া আস।” বিরস মুখে বাজারের থলি হাতে টোনা বাহির হইল। টুনি ভাবে, মায়ের কাছ থেকে ভাল উপায়ে ভাপা পিঠা রন্ধন প্রনালী শিখিয়া নেয়া দরকার। মাকে ফোন করিয়া ঘটনা জানাইতেই তিনি টোনার উপর যারপর নাই চটিয়া গিয়া কহিলেন- -“টোনা তাহার কন্যা কে পাহিয়াছে কি? ছুটির দিনেও রান্নাঘর থেকে ছুটি দিতেছে না।” অবস্থা বেশি সুবিধার না আঁচ করিয়া টুনি ফোন রাখিয়া দিয়া ভাবিল শ্বাশুড়িমাতার কাছ থেকেই না হয় শিখিয়া লওয়া যাক। ঘটনা শুনিয়া শ্বাশুড়িমাতা “টোনার দুর্ভাগ্যের জন্য যারপর নাই দুঃখ প্রকাশ করি

হাড়ে হাড়ে চিনি তোমায়...

হাড়ে হাড়ে চিনি তোমায় কচু ভালোবাসো আমায়' আমার লগে কর অভিনয়... জানি তুমি, চক্ষু দু’টা বাইন্ধ্যা রাখস্‌ সামনের বাড়ির জানালায়।। ফাজিল মাইয্যার নাম কি জানি, শিবানী না কি সর্বানী, মাইয্যার চোখে মুখে জ্বলে রাশি রাশি শয়তানি। রাশি রাশি শয়তানি রে… ইশারাতে চলতাছে চলুক, লোকে বলতাসে বলুক। আমার সংসারে যদি আগুন জ্বলে তবে, রিপোর্ট করব চাচার থানায়, প্রেম কর বইয়া জেলখানায়। মনে রাইখো এই কথাটি, প্রেম কইরা করস বিয়া, তোমের ঘরে আইলাম আমি, সব কিছু ছাইরা দিয়া, সব কিছু ছাইরা দিয়া হায়!! সেই মনুমেন্টের নিচে বইয়া, ফুচুফুচু কথা শুনাইয়া, আও গ্রাম ঘাটের ধারে, প্রথম প্রেমের কবিতা পইড়া, আমারে পাগোল বানাইলেও, পরাণ হয় পাগোল, উঁকিঝুকি মাইরো না আর, ছিঃহ্‌!! এ সকল কি তোমার মানায়??

ভাবনাগুলো এলোমেলো

সবকিছু বড্ড বেশী ধোঁয়াশা লাগে আজকাল।  পৃথিবী নতুন লাগছে। নাকি আমিই হয়তো বদলে গিয়েছি। কিংবা আমি না সময়টাই বদলে গিয়েছে। গতকাল একটা ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে খেয়াল করলাম বয়সের ঘরটা্র  পরিবর্তন হয়েছে।  বদলে গিয়েছে আরো অনেক কিছুই। সবাই সেমেষ্টার  ফাইনাল পরীক্ষার জন্য পড়ছে। আমার স্কুল নেই, বই নেই, পরীক্ষা নেই। কখনো ভাবিনি পরীক্ষা নেই বলে অফসোস করবো !!! হয়তো আমিই বদলে গিয়েছি অনেক বেশি। জীবনে এসে পড়েছে অনেক দায়িত্ব। অচেনা কিছু মানুষ নতুন সম্পর্কের টানে আপন হয়ে উঠেছে; আবার আপন কিছু মানুষ অদ্ভূত নির্লিপ্ততায় দূরে সরে গেছে।  স্বতঃস্ফূর্ত জীবনের মাঝে ঢুকে গিয়েছে  হিসাব নিকেশ, অনেক প্রত্যাশা আর  হতাশা। আর ঠিক এক সপ্তাহ পরে চলে যাচ্ছি নতুন একটা শহরে।  অনিশ্চিত জীবনে।  আবার কখনো হয়তো ফিরে আসবো এই চেনা শহরে, কিন্তু তখন কী আজকের চেনা মানুষ গুলো এমনই থাকবে?? সব পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করতে গিয়ে যেন তলিয়ে যাচ্ছি।