Skip to main content

নানা রঙের দিনগুলি ২

অলস শনিবার । প্রজেক্ট, পড়াশোনা থেকে ছুটি নিয়েছি গত দু'দিন। ইচ্ছা ছিল ম্যুভি দেখতে যাব। কিন্তু এমন ঠান্ডা পড়েছে যে ঘর থেকে বার হতে ইচ্ছা করছে না। কেমন একটা মন খারাপ করা বিষণ্ন সময়। এর মাঝে ভাল থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

Youtube এ বহুদিন পর একটা বাংলা নাটক দেখলাম। ঈদ ভেকেশান। খারাপ না। নতুন নায়ক -নায়িকা। কাউকেই চিনি না। সবাই কেবল চিত্‌কার করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এখন চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলা ফ্যাশন কি না কে জানে?? ফ্যামিলি ভ্যালু ভিত্তিক নাটক। তবে একটা জিনিষ লক্ষ্য করে বেশ অবাক হলাম - যে নাটকের সব চরিত্র দুমদাম করে কেবল কাজের লোকদের অর্ডার দিচ্ছে। নিজে বসে চা খাচ্ছে , আর কাজের লোককে ডেকে হয়রান দরজা খুলে দেয়ার জন্য। এটা আমাদের দেশের খুবই সাধারন একটা ঘটনা। আমার বাসায় ও হরহামেশা হয়। আমি নিজেও বহুবার করেছি। তাইলে নাটকে এটা চোখে লাগলো কেন???

একটু আগে তানভীর ভাইয়া ফোন করল। একথা সেকথা বলে জানাল ও শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করছে। এখন ওর এবং ভাবীর দু'জনের অবর্তমানে শায়ানের কাস্টডি আমাকে দিতে চায়। প্রথমে খুব খুশী লাগছিলো। যে আমাকে সবাই এত বিশ্বাস করে, এও দায়িত্বশীল ভাবে। কিন্তু একটু চিন্তা করে দেখলাম আসলে তা না। ২২ বছরের আমাকে কেন কাস্টডি দিতে চাইবে?? এবং আমাকে ভাইয়া জিজ্ঞেস করেনি যে আমি চাই কি না। শুধু ইনফরমেশানটা দিল। এখন মনে হচ্ছে এটা অনেক বড় দায়িত্ব। যদিও জানি... the odds are very little, that I actually have to do it. তবুও। নিজেকে অনেকটা শায়ানের Godmother মনে হচ্ছে।

Comments

Popular posts from this blog

টোনা টুনির গল্প

এক দেশে ছিলো এক টোনা আর এক টুনি। এক ছুটিরদিন সকালে টোনা, টুনিকে ডাকিয়া কহিল -“টুনি ভাপা পিঠা খাওয়ার শখ হইতেছে।” শুনিয়া টুনি ফ্রিজ খুলিয়া দেখিল, কেবল শুকনো রুটি আর পনির পড়িয়া আছে। টুনি বলিল – -“ফ্রীজে কিছুই নাই। বাজার হইতে ভাপা পিঠা রাধিঁবার সরঞ্জাম লইয়া আস। - টোনা শুধায় “কি কি লাগিবে ফর্দ দাও।” টুনি পড়িল মহা চিন্তায়, ভাপা পিঠা কি উপায়ে রাধেঁ , কি কি লাগে সবই তো তার অজানা। ভাবিতে ভাবিতে ঘরের কোণায় যত্ন করিয়া রাখা দেশ বিদেশের পিঠা বইখানি টানিয়া লইলো। তাহা হইতে যাহা যাহা দরকার সব লিস্ট করিয়া টোনাকে দিয়া বলিল – “তাড়াতাড়ি এইসব লইয়া আস।” বিরস মুখে বাজারের থলি হাতে টোনা বাহির হইল। টুনি ভাবে, মায়ের কাছ থেকে ভাল উপায়ে ভাপা পিঠা রন্ধন প্রনালী শিখিয়া নেয়া দরকার। মাকে ফোন করিয়া ঘটনা জানাইতেই তিনি টোনার উপর যারপর নাই চটিয়া গিয়া কহিলেন- -“টোনা তাহার কন্যা কে পাহিয়াছে কি? ছুটির দিনেও রান্নাঘর থেকে ছুটি দিতেছে না।” অবস্থা বেশি সুবিধার না আঁচ করিয়া টুনি ফোন রাখিয়া দিয়া ভাবিল শ্বাশুড়িমাতার কাছ থেকেই না হয় শিখিয়া লওয়া যাক। ঘটনা শুনিয়া শ্বাশুড়িমাতা “টোনার দুর্ভাগ্যের জন্য যারপর নাই দুঃখ প্রকাশ করি

হাড়ে হাড়ে চিনি তোমায়...

হাড়ে হাড়ে চিনি তোমায় কচু ভালোবাসো আমায়' আমার লগে কর অভিনয়... জানি তুমি, চক্ষু দু’টা বাইন্ধ্যা রাখস্‌ সামনের বাড়ির জানালায়।। ফাজিল মাইয্যার নাম কি জানি, শিবানী না কি সর্বানী, মাইয্যার চোখে মুখে জ্বলে রাশি রাশি শয়তানি। রাশি রাশি শয়তানি রে… ইশারাতে চলতাছে চলুক, লোকে বলতাসে বলুক। আমার সংসারে যদি আগুন জ্বলে তবে, রিপোর্ট করব চাচার থানায়, প্রেম কর বইয়া জেলখানায়। মনে রাইখো এই কথাটি, প্রেম কইরা করস বিয়া, তোমের ঘরে আইলাম আমি, সব কিছু ছাইরা দিয়া, সব কিছু ছাইরা দিয়া হায়!! সেই মনুমেন্টের নিচে বইয়া, ফুচুফুচু কথা শুনাইয়া, আও গ্রাম ঘাটের ধারে, প্রথম প্রেমের কবিতা পইড়া, আমারে পাগোল বানাইলেও, পরাণ হয় পাগোল, উঁকিঝুকি মাইরো না আর, ছিঃহ্‌!! এ সকল কি তোমার মানায়??

ভাবনাগুলো এলোমেলো

সবকিছু বড্ড বেশী ধোঁয়াশা লাগে আজকাল।  পৃথিবী নতুন লাগছে। নাকি আমিই হয়তো বদলে গিয়েছি। কিংবা আমি না সময়টাই বদলে গিয়েছে। গতকাল একটা ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে খেয়াল করলাম বয়সের ঘরটা্র  পরিবর্তন হয়েছে।  বদলে গিয়েছে আরো অনেক কিছুই। সবাই সেমেষ্টার  ফাইনাল পরীক্ষার জন্য পড়ছে। আমার স্কুল নেই, বই নেই, পরীক্ষা নেই। কখনো ভাবিনি পরীক্ষা নেই বলে অফসোস করবো !!! হয়তো আমিই বদলে গিয়েছি অনেক বেশি। জীবনে এসে পড়েছে অনেক দায়িত্ব। অচেনা কিছু মানুষ নতুন সম্পর্কের টানে আপন হয়ে উঠেছে; আবার আপন কিছু মানুষ অদ্ভূত নির্লিপ্ততায় দূরে সরে গেছে।  স্বতঃস্ফূর্ত জীবনের মাঝে ঢুকে গিয়েছে  হিসাব নিকেশ, অনেক প্রত্যাশা আর  হতাশা। আর ঠিক এক সপ্তাহ পরে চলে যাচ্ছি নতুন একটা শহরে।  অনিশ্চিত জীবনে।  আবার কখনো হয়তো ফিরে আসবো এই চেনা শহরে, কিন্তু তখন কী আজকের চেনা মানুষ গুলো এমনই থাকবে?? সব পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করতে গিয়ে যেন তলিয়ে যাচ্ছি।