পোকার জোকার ছোটবেলায় বার্ষিক বনভোজন অথবা পাড়ার ছোটখাট অনুষ্ঠানে আপুকে দেখতাম, সবসময়ই পুরস্কার পেত। চকলেট, টোস্টার, ইস্ত্রি আরো কত কি!!! আমি কখনোই একটা কিছু জিততাম না। কিন্তু টিকেট হাতে , এই বুঝি আমার নম্বর ডাকলো এই উত্তেজনাটা দারূণ উপভোগ করতাম। আর ড্র শেষে আপুকে খুবই হিংসা করতাম। তাই লটো খেলায় আমার তেমন অগ্রহ হয় নি। লটারি তে আগ্রহ না থাকলেও ক্যাসিনোর ঝলমলে পরিবেশ আমার ভালো লাগে। টেক্সাসে ক্যাসিনো নিষিদ্ধ হওয়ায় আমার আকর্ষণ আরো বেড়েছে। আর এখানে বাস করে টেক্সাস হোল্ডে'ম পোকার পারিনা শুনে সবাই তাজ্জব। বন্ধুরা বেশ ঘটা করে শেখানো শুরু করলো। কেনা হলো পোকার চিপ্স। আমি হাল ছেড়ে দি , কিন্তু ওরা ছাড়ে না। তবে সপ্তাহ খানেকের মেহনতের পরে আমি জেতা শুরু করলাম। অগ্রহও বাড়তে লাগলো। সপ্তাহে একদিন পোকার না খেললে ভালো লাগে না। এর মাঝে একটা এ্যাপ নামালাম। আমি দিন রাত যখনই সময় পাই পোকার খেলা শুরু করলাম। ক্লাসে, কাজের ফাঁকে, বন্ধুদের অড্ডায় কেবলই পোকার। সাহস করে একটা পোকার টুর্নামে...
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে মন বাড়িয়ে ছুঁই, দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই।