আমার বাড়াবাড়ি রকমের ভূতের ভয় আছে। তাই সবসময় চেষ্টা করতাম কিভাবে কবরস্থানটাকে এড়িয়ে বাইরে যাওয়া যায়। যেহেতু এটা আমার বাসার ঠিক পাশেই, তাই না চাইলেও চোখ চলে যায়। সময়ের সাথে সাথে দিনের বেলায় ভয়টা কমতে থাকে; আর তার জায়গা নেয় কৌতুহল। কাটাতারের বেড়ার ফাঁক দিয়েই পরিচয় হয় এপিটাফ গুলোর সাথে। যেমন ক্যারোল সাহেব আর প্রথম স্ত্রী জেনিফারকে বেশী ভালোবাসতেন। জেনিফারের এপিটাফের উপর একটা ভিষন সুন্দর সাদা পরীর মুর্তি গড়া। আর ঠিক পাশেই দ্বিতীয় স্ত্রী এ্যানির এপিটাফটা একদমই সাদামাটা। আবার স্মিথ পরিবার পশুপাখি খুব পছন্দ করত, তাদের এপিটাফের উপর বিভিন্ন পশুপাখির ছবি খোদাই করা।ছোট্ট বিলির ছিল গাড়ির শখ। তার এপিটাফের উপর প্রায়ই কেউ খেলনা গাড়ি রেখে যায়। এই কবরস্থালে আরো থাকে এক তিন পা ওয়ালা বেওয়ারিশ কুকুর। ভীষণ রোমোশ তবে আকারে তেমন বড় না। দেখতে বেশ নিরীহ। আগে খুবঅই ভয় পেতাম এটাকে। আজকাল ওকে দেখলেই কেমন মায়া লাগে। আহারে! বেচারা ভাল করে খেতে পায় না, যত্ন নেয়ার কেউ নেই। ক্লান্ত দিন শেষে বাড়ি ফেরার সময়, বহু বছর আগে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়া এই ভিনদেশী মানুষ গুলোকে আমার বড্ড আপন মনে হয়।
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে মন বাড়িয়ে ছুঁই, দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই।